হাজীগঞ্জ থেকে খালেকুজামান
শ্রাবনী। হাজীগঞ্জ উপজেলার ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবা হটাৎ হারিয়ে গেছে। মা সন্ধ্যারানী দিশেহারা। শ্রাবনীসহ বাকি চার মেয়ে নিয়ে অসহায় । শ্রাবনি বাবাকে খুজছে। তার মাঝে হাজীগঞ্জ বাজারে টিউটর করে বোনদের খাবার, পোষাক, ঔষধ, লেখা পড়ার জোগান আর মায়ের দেখাশুনা। সব মিলিয়ে যখন শ্রাবনী দিশেহারা ঠিক তখন আমাদের পত্রিকা অফিসে আসে বাবার খোজ নিতে পত্রিকার মাধ্যমে। তখন তার কথা শুনে চোখে জল এসে যায়। সবশেষে জানলাম তাদের থাকার মত একটি ঘরও নেই। শুনে দৈনিক যুগান্তরসহ সকল পত্রিকা গুলোতে তার বাবার সন্ধানে খবর দিলাম। ৫ দিন পর বাবাকে নিয়ে হাসি মুখে শ্রাবনি আমার সামনে। অবাক হলাম। তার চাইতে আমিই বেশি খুশি হলাম। এবার একটা ঘর। আমাদের ইউএনও স্যার বৈশাখী বড়ুয়াকে শ্রাবনির কথা বললাম। তিনি নিজ উদ্যোগে ঘটনাটি জেনে শ্রাবনির মাকে একটা ঘর দিলো। চির ঋনী হয়ে গেলাম তাঁর কাছে।
হটাৎ শ্রাবনির মায়ের ফোন পেলাম। তিনি কাঁদছেন। এটা আনন্দের কান্না। বললো : বাবা তোকে দোয়া করি। তোর জন্য থাকার ঘর পেলাম। শ্রাবনি ফিরে পেলো তার বাবাকে । আমি ধন্য।কৃতজ্ঞ ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া স্যারের কাছে। স্যার, সব সময় আপনি অসহায়দের পাশে দাঁড়াবেন। প্রত্যাশা করি।