সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ট্র্যাব সম্মাননা পেলেন অপর্ণা রানী রাজবংশী ফেন্সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টসের নতুন আউটলেট উদ্বোধন নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত আটক সিরাজদিখানে বিক্রমপুর নামকরণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় আমিরাতে বোয়ালখালী চরণদ্বীপ পাঠানপাড়া প্রবাসীদের জনকল্যাণমূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ । ষোলঘরে  জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিউটিপার্লারের কর্মচারী থেকে কোটিপতি-দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ২২৩ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি দৈনিক বাংলার অধিকারঃ- নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৪নং নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াছমিন (ডালু) বিউটি পার্লারের কর্মচারী থেকে কোটিপতি।৪নং নগর ইউনিয়নের ধানাইদহ গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন ডালু (৪৩) ,তার বাবা ছিলেন ৪নং নগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য।
নিলুফা ইয়াছমিন ডালুর নজরুল ইসলামের সাথে বিয়ের পরে তাদের দিন গুলো ছিলো অনেক কষ্টের ,অর্থের অভাব ছিলো অনেক।অভাব সইতে না পেরে নিলুফা ইয়াছমিন ডালু ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যোগদান করেন মমতা বিউটি পার্লারে। সেখানে তার বেতন শুরু হয় পনেরো শত টাকা দিয়ে,তারপর কিছু দিন অতিবাহিত হলে সে ব্রাকের স্কুল মাষ্টারের চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরির কিছু দিন চলার পরে তিনি ৪নং নগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন এবং নির্বাচিত হন মেম্বর হিসেবে,এরপর তিনি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন।পরবর্তীতে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন,এবং ২৫৪ ভোটে তিনি নির্বাচিত হতে পারেন নি,এমন কি তিনি জামানতটাও ফেরৎ পাননি। তারপর তিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন,এবং নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদন্দীতে নির্বাচিত হন ।সে চেয়ারম্যান হবার পর কিছুদিনের মাথায় তিনি তিন খানা ট্রাকের মালিক হন,এবং কিছু জমি ক্রয় করেন ।
এ বিষয়ে এলাকা বাসীর মনে সন্দেহ চলে আসে ,এত টাকার মালিক কিভাবে হলেন চেয়াম্যান নিলুফা ইয়াছমিন ডালু। সেই কারনে এলাকার মানুষ মাঠে ঘাটে এমন কি চায়ের দোকানে অলোচনা সমালোচনা করেন সবাই । সবার মুখে একই কথা, কোথায় পেলো চেয়ারম্যান এতটাকা এলাকাবাসীর সবাই বলাবলি করেন চেয়ারম্যান হলে কত টাকা মাসে ইনকাম করা যায়।এত তাড়াতাড়ি ট্রাকের মালিক তিনি কিভাবে হন, মাঠের জমি কেনা কি করে সম্ভব।ইতি পুর্বে তো অনেক চেয়ারম্যান হয়েছে এই ইউনিয়নে, তারা তো কেউ এতটাকার মালিক হতে পারেনি । নিলুফা ইয়াছমিন ডালু কিভাবে এত টাকার মালিক হলেন।
এ বিষয়ে এলাকা বাসীর কাছে জানতে চাইলে বড়াই গ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম (ভুট্টো) বলেন,আমাদের চেয়ারম্যান অঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন ।এটা হবার মুল কারন আমরা যত টুকু জানি সে যখন বিউটি পার্লারের সাধারন কর্মচারী ছিলেন তখন বি এন পি এর এমপি মোজাম্মেল হোসেনের সাথে তার অনেক ভালো সম্পর্ক থাকায় সেখানে কিছু টি,আর বরাদ্দ করে নেন।তার পর তিনি সংরক্ষিত আসনের মেম্বর ছিলেন যখন তখনও তিনি মোজম্মেল এম পির পিএ মত থাকতেন।এর পর তিনি যখন চেয়ারম্যান হন তখন তিনি আমাদের এম পি মহদয়ের সাথে মিল হয়ে সে একজন নেত্রী হয়েজান।তিনি মেম্বর থেকে চেয়ারম্যান হওয়া পর্যন্ত এমন কোনো সরকারি বেসরকারি জায়গা নেই যে তিনি টাকা নেননা।এমন কি স্কুলের নিয়োগ বিক্রি করে খেয়েছেন।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাদের মন্ডল কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,চেয়রাম্যানেরে বাড়ি আর আমার বাড়ি একই গ্রামে।তার বাবার বাড়িও একই গ্রামে বাবার ও তার স্বামীর তেমন কিছু ছিলোন। তার এমন ভাবে সম্পদ হওয়ার বিষয়টা আমার মাথায় আসেনা।কারন এর আগে তাদের কোনো টাকা পয়সা ছিলনা,চেয়ারম্যান হবার পর সে কিছু জমির মালিক এবং তিনটা ট্রাকের মালিক হলেন।তবে আমার জানা মতে সৎ পথের রোজগার দিয়ে এত তাড়াতাড়ি টাকার মালিক হওয়া যায়না।অসৎ পথ ছাড়া কোনো ভাবেই সম্ভব হবেনা এত টাকার মালিক হওয়া।সে চেয়ারম্যান হওয়ার পরে অনেক চাকরির নিয়োগ বিক্রি করেছেন এবং সরকারি বেসরকারি সকল জায়গার টাকাতে তিনি হাত দেন।এবং সেটা তিনি নিজে রেখে দিতেন এমপির নাম করে,কিন্তুু এমপিকে তো আর দিতে হয়না। কারন আমাদের এমপি মহোদয় খুব ভালো মানুষ,সে কোনো কাজে টাকা পয়সা লেইনা
এবিষয়ে ৪নং নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন ডালুকে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও রিসিভ না করার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!