সুভাস দাস ( পটুয়াখালী ) জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক বাংলার অধিকারঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় বাবার বাড়িতে বেরাতে এসে ফার্সি আক্তার (২০) নামের এক নববধূ র রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফার্সি আক্তার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের হোগলবুনিয়া গ্রামের মো. তোফাজ্জেল হোসেন মৃধার মেয়ে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন রোজ মঙ্গলবার উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের।আমখোল বাজারের মৃত মোহাম্মদ আলম খানের ছেলে মো. অপু (২২) নামে এর সাথে ফার্সি আক্তারের কলমা ও কাবিনমূলে বিবাহের রেজিষ্ট্রি সম্পূর্ণ করা হয়।
গত ১৫ জুলাই রোজ সোমবার ফার্সিকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি তুলে দেয়া হয়। ফিরতি নাইয়রী হিসেবে গত ১৭ জুলাই রোজ বুধবার ফার্সি স্বামীসহ বাবার বাড়ি আসেন।
এ ব্যাপারে ফার্সির বড় ভাই ইউপি সদস্য মো. সায়েম মৃধা এ প্রতিবেদককে জানান, আমার বোন ফার্সির বিবাহের পূর্বে পাশের বাড়ির চাচাতো চাচা ফরিদ মৃধার ছেলে রায়হান মৃধা আমার বোন ফার্সিকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় ও বিভিন্ন সময়ে আমার বোনের মুঠো ফোনে মেসেস পাঠাত। রায়হানের সাথে আমার বোনকে বিবাহ না দিয়ে অন্যত্র বিবাহ দেই।
ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে আমার চাচাতো চাচার বাড়িতে নতুন জামাইকে দাওয়াত দিলে সমাজিক নিয়মানুযায়ী অতিথি আপ্যায়ন করতে শরবত ও দুধ খেতে দেন ফরিদ মৃধার স্ত্রী ও মেয়ে তামান্না।
অতিথি আপ্যায়ন পর্ব শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে নিহত ফার্সির বুকে প্রচন্ড জালা যন্ত্রণা শুরু হয় এবং এর সাথে বমি হতে থাকলে শারিরিক অবস্থা খারাপ দেখে আমরা রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গাড়িযোগে ফার্সিকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইমাম সিকদার ফার্সিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বিষয়টি তিনি গলাচিপা থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
বলে প্রতিবেদককে জানান।
এদিকে চাচার বাড়িতে দুধ পানে নববধূর নিহতের কথা ছরিয়ে পরলে এলাকায় নানান রকমের কথা বাতাসে ভেশে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগের তীর ফরিদ মৃধার ছেলের দিকে গেলে, সরজমিন অভিযুক্ত রায়হানের মায়ের কাছে জান্তে চাইলে তাদের উপর সব অভিযোগ সরযন্ত্র ও মিথ্যা বলে দাবী করেন ফরিদ মৃধার ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।