মো: আবদুল কাদের,দৈনিক বাংলার ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পানপাড়া সড়কের বেহাল দশা। এই সড়কে গত দুই বছর ধরে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। সড়কজুড়ে গর্ত আর খানাখন্দ। বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে ইট। গর্তে জমে আছে কাদা-পানি। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় যানবাহন চলাচলে বিঘœ বৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তার এমন দুরাবস্থা এতটা খারাপ যে হেঁটেও চলাচল করা যায় না। ফলে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, রায়পুর-রামগঞ্জ উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ওই সড়ক। দুই উপজেলার বিভিন্ন পণ্য দ্রুত শহরে পৌঁছানো সম্ভব হতো এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ওই সড়কের যানবাহনগুলোকে প্রায় ২০ কি.মি. ঘুরে রায়পুর-রামগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে রায়পুর-রামগঞ্জ উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন এই সড়ক এক সময় কাঁচা ছিল। আট বছর আগে এলজিইডি বিভাগ সড়কটির সাত কিলোমিটার সংস্কার করে। সংস্কারের এক থেকে দেড় বছর পর সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই উঠে গর্ত হয়ে যায়।
সব শেষ দুই বছর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে যায়। সৃষ্টি হয় ছোটবড় গর্তের। বিশেষ করে সাত কিলোমিটার সড়কের তিন কিলোমিটার একেবারে ভেঙে গেছে। এতে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
সড়কে সিএনজি চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে লোকজন দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন। আর সামান্য বৃষ্টি হলে সিএনজি দূরের কথা পাঁয়ে হেঁটে যাতায়াতেও সমস্যা হয়ে পড়ছে। বর্তমান এমপির বাড়ীও এই সড়কে। এরপরও সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না।’
রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান কামাল জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দুটি উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষকে জেলা শহরে চলাচল করতে হয়। বর্তমানে সড়কের এমন অবস্থা যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সড়ক দিয়ে ভারী সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি জানিয়ে এমপিসহ বিভিন্ন জায়গায় জানানোর পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তবে ইচ্ছে করলে বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি শহিদুল ইসলাম সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নিতে পারেন। কারণ সড়কের পাশেই উনার বাড়ি। তিনিও এই সড়ক দিয়ে বাড়ি গিয়ে থাকেন।
রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন ভূঁইয়া সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি মেরামতের জন্য আরসিআইপি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।’