ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামাই-শ্বাশুড়ির প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করেছে শ্বশুর এমন অভিযোগ। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে আসাদুল ইসলাম (৪০)। সে উপজেলার মহেশ্বরচাদা গ্রামের সবের আলী মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শ্বাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটকে রেখেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, আসাদুল ইসলামের নিজের মেয়ের জামাই পাশ্ববর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সাথে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের প্রেমজ সম্পর্ক চলছিল এমন বিষয় নিয়ে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ড হয়। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর পর আসাদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা উদ্ধারকরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহেশ্বরচাদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, মুসলিম দেশে এসব কি গঠছে এসব গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ জামাই বিল্লাল হোসেন ও শ্বাশুড়ির সুফিয়ার সাথে প্রেমজ সম্পর্কের কারনে গত বুধবার বিকালে কীটনাশক পান করে আসাদুল। এর পর সে হাসপাতালে মারা যায়। তিনি বলেন এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে একটি ঘরে রেখেছে।
তবে জামাই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ৪ মাস। আমি মোটরগাড়িতে কাজ করি। আমার সময় কখন শ্বাশুড়ির সাথে প্রেম করার। আমার নতুন বউ। সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না।