প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা রবিবার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিএইমএইচে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং এ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ কথা জানান
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে তার দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরাদেহ রাখা হবে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে।
তার তৃতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাইতুল মোকাররম মসজিদে এবং এরপর মঙ্গলবার রংপুরে তার জন্মভূমিতে চতুর্থ নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রটারি খন্দকার জালালী জানান, আগামীকাল সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পার্টির কাকরাইল আফিসে নেওয়া হবে। বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা। রাতে সিএমএইচের হিমঘরে লাশ রাখা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় মরদেহ হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নেওয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে বা ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাজা হবে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও দলীয় প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাজধানী ঢাকার সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার আত্মীয় ও জাপার সভাপতিমন্ডলীর সদস্য খালেদ আখতার।
মৃত্যুর পূর্বে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সাবেক এই ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি। মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে আরেকবার ক্ষমতায় দেখার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে পল্লীবন্ধুর শেষ এই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না, শেষবারের মতো আর ক্ষমতার দেখা পেলেন না ক্ষমতাধর এই স্বৈরশাসক।