প্রদীপ রায়, বীরগঞ্জ : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে ২০ জুন -২০১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত এবং বীরগঞ্জ এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেন এর সহযোগিতায় ও সভাপতিত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শিশু নিরাপত্তা রিপোর্টিং ও রেসপোন্স মেকানিজম উন্নতীকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আমিনুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সোহেল আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন মি. যোসেফ মিন্স, ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার, বীরগঞ্জ এরিয়া প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। আরও উপস্থিত বীরগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. খয়রুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৮৭টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকগণ এবং বীরগঞ্জ এরিয়া প্রকল্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের হাই-কোর্ট ২০০৯ নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কমিটি গঠন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়কে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাল্য বিবাহ ও নির্যাতন নিপিড়ন বন্ধে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে।
বিশেষ অতিথি সোহেল আখতার বলেন,শিশুকে, তার পরিবার ও এলাকার জনগণকে সরকারের টোল ফ্রী নাম্বার (১০৯/১০৯৮/১০২৮/৩৩৩/৯৯৯) ব্যাবহারের জন্য পরামর্শ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় সরকারের কার্যালয়ে শিশু বান্ধব অভিযোগ স্থাপন করার জন্য আহবান করেন এবং শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কমিটি অভিযুক্ত ঘটনার তদন্ত, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে রেফার করা সহ ঘটনা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে ও তার পরিবারকে মনিটরিং ও ফলোআপ সেবায় রাখার কথা বলেন ।
আরও বক্তব্য রাখেন মি. যোসেফ মিন্স, ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার, তিনি বলেন- ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারী ত্রান, সমাজ উন্নয়ন এবং এ্যাডভোকেসী মূলক সংস্থা। এটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সারা বিশ্বে সকল মানুষের জন্য বিশেষতঃ শিশু উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন গোটা বিশ্বে ১০০ টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ প্রায় ৩১ জেলায় কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ৮৭টি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকগনেরা বলেন এই কর্মশালার ফলে অভিযোগকারী নিরাপদে অভিযোগ করতে পারবে এবং নিরাপদ/গোপনীয়তা নিশ্চিত হবে। অভিযোগকারী সমাধান লাভ করবে।
পরিশেষে মো. ইয়ামিন হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন- প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন করার জন্য আহবান করেন। তিনি বলেন এই কমিটি গঠনের ফলে শিশু ঝড়ে পড়া থেকে রক্ষা পাবে। কোনো সহিংসতা ও অবহেলা হবে না শিশুরা। শিক্ষার্থীরা যেন কোনো প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার না হয় সেজন্য এই কমিটি গঠন করা অত্যবশ্যক। তিনি আরও বলেন প্রতিটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় একটি করে অভিযোগ ও পরামর্শ বাক্স রাখার পরামর্শ দেন। যাতে করে শিশুরা তাদের অভিযোগ বাক্সে প্রদান করতে পারে।