নিজেস্ব প্রতিবেদক,
পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলিম জীবনে একটি অনন্য দিন। এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালন করে ঈদ। এ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আখিরাতে নাজাত পাওয়ার প্রয়াস পায়। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তারা যে গুণাবলি ও প্রশিক্ষণ অর্জন করে ঈদ উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা তাকে পরিপূর্ণ করে। এই উৎসব মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, কবিও লেখক, সাংবাদিক সংগঠক রিয়াজুল হক সাগর
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত যেন তাকবির পড়ে। হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঈদগুলোকে তাকবির (আল্লাহু আকবার ধ্বনি) দ্বারা সুসজ্জিত করো।তাকবির অর্থ হচ্ছে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা। তাকবিরের ভাষা হচ্ছে, (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা)।এ উৎসবের অন্যতম পর্ব হচ্ছে দু’রাকাত নামাজ আদায় করা। এখানেও উচ্চারিত হয় মহান আল্লাহ তা’য়ালার শ্রেষ্ঠত্ব আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি।ঈদ উৎসব শুধু ধনীর জন্য নয়। মুসলিম সমাজের প্রতিটি মানুষ গরিব দুঃখী অসহায় সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এই উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব যা ইবাদতের শামিল।রিয়াজুল হক সাগর, আরও বলেন, আমাদের প্রিয় কবি সাহিত্যিক লেখক,ও সংগীত শিল্পী নাট্য কর্মী গনমাধ্যম কর্মীসহ দেশ বাসীকে সবাইকে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সব ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে বুকে জড়ানোর দিন, সাম্য, সৌহার্দ্য, ভালোবাসা, মিলনের দিন পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদ অঙ্গীকারেরও উৎসব। আত্মিক পরিশুদ্ধির ফলে দূর হয়ে যাবে সব সংকীর্ণতা ও ভেদাভেদ। অন্যায়, অবিচার, ঘৃণা, বিদ্বেষ, হিংসা, হানাহানি-মানুষের সব নেতিবাচক প্রবণতার রাশ টেনে ধরবে ঈদ। ঈদ যে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে, তার মর্মমূলে আছে শান্তি ও ভালোবাসা। পরস্পরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার এক মহান উপলক্ষ ঈদ। ঈদ আগমনী সুরে বেজে চলেছে মানুষে মানুষে মিলনের এই আকুতি। তাই মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের প্রতিবেশীদের নিয়ে তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব বরণের জন্য প্রস্তুত। ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহর থেকে পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের বাড়ি যান। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করে ঈদ উদযাপন করেন। ঈদ শেষে সবাই আবার ফিরে নিজ কর্মস্থলে। তাই সবার জীবনে ঈদ নিয়ে আসুক সমৃদ্ধি, ভালোবাসা ও প্রেম। সবার চলার পথ হোক নিরাপদ। আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই, পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
শুভেচ্ছান্তে
রিয়াজুল হক সাগর,
সাংবাদিক ও সংগঠক রংপুর বাংলাদেশ।