সিরাজুল ইসলাম কমলনগর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর রামগতি ও কমলনগর আঞ্চলিক সড়কে ইটভাটার যানবাহন চলাচলের কারণে অতিরিক্ত ধুলাবালি উড়ছে। এতে রাস্তায় চলাচলরত শিক্ষার্থী, যাত্রী ও পথচারীরা চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। মুখে মাস্ক, রুমাল ব্যবহার করেও স্বস্তি পাচ্ছে না কমলনগর উপজেলার সাধারণ মানুষ।
তোরাবগন্জ বাজার থেকে শুরু করে ভবানীগন্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর পর্যন্ত। তোরাবগন্জ থেকে মতিরহাট পর্যন্ত সড়কটি যেনো ধুলোর রাজ্য। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, যাত্রী, পথচারীরা।তোরাবগন্জ থেকে পূর্ব দিকে চৌধুরী বাজার যাওয়ার রাস্তা ধূলো বালির সড়ক
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করইতোলা বাজার ,ফাজিলমিয়ার হাট,ইসলামগন্জ,চরবসু বাজার, ফজুমিয়ার হাট,চর লরেন্স বাজার থেকে নদীরপাড় পর্যন্ত সড়কে দিব্যি চলছে মাটি বাহী টাক্টর টলি,বালু নিয়ে চলে ছোট বড় ট্রাক যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও বালুবাহী ড্রামট্রাক ও ভারি যানবাহনগুলো চলাচলের কারণে পুরোসড়কে কুয়াশার মতো ধুলা উড়তে দেখা গেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব পড়ছে। এ দৃশ্য দেখে মনে হয় এ যেন কুয়াশাছন্ন শীতের সকাল।
অতিরিক্ত ধুলার কারণে এসব রাস্তায় অটো, রিকশা, বাস, মোটরসাইকেল যাত্রীসহ পথচারীরা দুর্ভোগ শিকারের পাশাপাশি তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে
সিএনজি চালক আলাউদ্দীন বলেন, ‘ধুলোবালির কারণে রাস্তায় সামনের গাড়িগুলোও সহজে দেখা যায় না, এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পথচারি ডাঃ নুরুল ইসলাম দুলাল বলেন, ইটভাটার যে সমস্ত মাটি ব্যবহার হচ্ছে তা সড়ক দিয়ে যাচ্ছে মাটির টাক্টর টলি তাদের সঠিক তদারকি না করার কারণে রাস্তা ধুলাবালির এক স্তুপ হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্যসামগ্রী, খাবার ঢেকে রেখেও ধুলোবালি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা। এতে খাবার ও বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুত।
গ্লোবাল স্কুলের ছাত্র সিফাত মাহমুদ বলেন, ধুলা থেকে রক্ষা পেতে এখন (মাস্ক) ব্যবহার করেও স্বস্তি পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে ধুলাবালির রাজ্যে আছি। সাধারণ লোকদের অভিমত, সংশ্লিষ্ট ইটভাটা ও কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে নজর দিতেন, তাহলে অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেত।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাঃ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ধুলোবালিতে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে। কমবয়সী ও বেশি বয়সী লোকজনের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ধুলোবালি মানব শরীরের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। সব সময় ধুলোবালি বেষ্টিত পরিবেশে থাকলে ফুসফুসে রক্তপ্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়ে। সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, টনসিল প্রদাহ, গলাব্যথা, অ্যাজমা বিভিন্ন রোগ হতে পারে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামত।
তারা আরো জানান ধুলোবালি থেকে যদি মানুষ রক্ষা পেতো, তাহলে মানুষের আয়ু আরো অনেক বছর বৃদ্ধি পেতো।