পাঁচবিবিতে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাখাওয়াত হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা ছাত্র কিশোর হাসান (১৭) হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই ঘটনাটি ঘটেছিল পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার গ্রামে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শামীমুল ইসলাম শামীম।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর আকিয়াপুকুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী আকন্দের পুত্র শামীম, আব্দুল খালেকের পুত্র একরামুল হক মণ্ডল ও বিনধারা গ্রামের ফারুক চৌধুরীর পুত্র মাখন চৌধুরী ওরফে আজমির চৌধুরী।
মামলার বিবরনে জানা যায়, একটি মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় রশিদপুর গ্রামে উপরোক্ত আসামিরা মাদ্রাসা ছাত্র হাসানকে হত্যার চেষ্টাকালে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পায় হাসান। এরপর ওই দিন বিকাল ৪টার দিকে আসামিরা পুনরায় হত্যা চেষ্টাকালে হাসান দৌড়ে ধানক্ষেতে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে হাসানকে খুঁজে বের করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর হাসানকে গলায় প্যান্ট পেঁচিয়ে ঘরের তীরে ঝুলিয়ে রাখে। পর দিন ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই ঘটনায় পাঁচবিবি থানা হত্যা মামলা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে নিহতের বোন মুনিরা বেগম বাদী হয়ে ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত বাদীর অভিযোগে ভিত্তিতে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তী সময়ে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আউয়াল ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এপিপি শামীমুল ইমাম শামীম। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আফজাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন।