নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মির ওয়ারিশপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দূর্নীতি অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা ২৭ শে অক্টোবর (রবিবার) উপজেলার মির ওয়ারিশ পুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শামসুল এরফান ও অফিস সহকারী ওমর ফারুকের সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কগণ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা মাদ্রাসায় অভিযান পরিচালনা চালনা করেন। বেগমগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক ফরহাদের নেতৃত্বে, প্রায় ৩০ জন ছাত্র সমন্বয়ক এই অভিযান পরিচালনা করেন। এবং পরবর্তীতে শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে সমন্বয়করা সকল শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত অধ্যক্ষ কর্তৃক যে অবহেলিত লাঞ্ছিত এবং দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন তা তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদেরকে মার্কশিট এবং প্রশংসা বাবদ সকল অর্থ অধ্যক্ষ এবং অফিস সহকারী ভাগাভাগি করে নিতেন। এছাড়াও এসএসসি ফরম পূরণের সময় এবং পরীক্ষার হল চার্জ প্রবেশপত্র বাবদ ৬/৭শত অর্থ নেওয়া, আবার পরীক্ষা চলাকালে হলের ভিতর আবার ২’শত টাকা করে চার্জ নেওয়া এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার ফিস ২’শত টাকা করে আদায় করতেন বলে অভিযোগ উঠে।
এইভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা তারা দুজনের যোগসাজশে হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহ করে দুজনে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতেন। ২০২২ সালে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহের কারণে অধ্যক্ষকে সচিব থেকে বহিষ্কার করা হয় সে ফাইল এখন ডিসি অফিসে এবং মন্ত্রণালয়ে আছে। পরে সমন্বয়করা দশ বছরের হিসাব তলব চেয়ে, ১০ দিনের সময় বেঁধে দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, দুর্নীতি প্রমাণ হলে অধ্যক্ষ এবং অফিস সহকারীকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যাথায় অপমান লাঞ্ছিত করে বের করে দেওয়ার হোসিয়ারি করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এবং প্রয়োজনে ইউএনও, ডিসি ও এডিসির কাছে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এবং কতৃপক্ষের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।
অনিয়ম ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে, অধ্যক্ষ শামসুল এরফানের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি জানান বিষয়টি সঠিক নয় এবং ষড়যন্ত্র মূলক বলে দাবি করেন।