অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনিদিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়া ৮০ টি পল্লীবিদুৎ সমিতির (প্রবিস) প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্হা গ্রহণের দাবিতে পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করেছেন সদর দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের জুনিয়ার কর্মকর্তরা।
তবে এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।তাদের দাবী কিছুকর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় তা বাধাগ্রস্গ করতেই জুনিয়ার কর্মকর্তা দের দিয়ে এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০ টা থেকে ১টা
পযন্ত খিলক্ষেতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদর দপ্তরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।জানা যায়, রবিবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি শুরু করেন। পরে দাবি পূরণের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে ফিরে আসেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন তারা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্লীবিদ্যুতের এক এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর চেয়্যারম্যান সেটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এ পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করতেই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা এ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) জানান, আসলে অবরুদ্ধ করা হয়নি। জুনিয়র কিছু কর্মকর্তা দেশের বিভিন্ন সমিতির কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি ও কাজে যোগদান বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান মহোদয়ের অফিসের সামনে গিয়েছে। ১০ মিনিটের মতো ছিল পরে চলে গেছে।
ঘটনার সত্যতা জানতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গেযোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনাকে অবরুদ্ধ বলবেন কিনা জানি না। তবে কিছু জুনিয়র কর্মকর্তা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমার অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে। এর পর তারা চলে গেলে আমি অফিস থেকে বের হয়ে একটি সভায় যোগ দিয়েছি। কী কারণে অবস্থান নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মবিরতিতে যাওয়া দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।