গ্রামীণফোন ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা
চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারের মৌখিক নির্দেশনায় বন্ধ রয়েছে দেশের ৫টি মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবা।
ফলে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইল ডাটা দিয়ে কেউ ফেসবুক, মেসেঞ্জার চালানো কিংবা কিংবা অনলাইনে কোনো কাজ করতে পারছেন না।
এমন অবস্থায় ইন্টারনেট বন্ধ করায় গ্রামীণফোনের হেডঅফিস ঘেরাও করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ৩টা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের হেডঅফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে সারাদেশে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট সংযোগ সচল করতে বিটিআরসি ভবন ঘেরাও করার আহ্বান জানিয়েছেন কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি ভবনের আশেপাশে যারা আছেন তারা গিয়ে বিটিআরসি ঘেরাও করে ইন্টারনেট খুলে দিতে বাধ্য করুন। না হলে এরা ম্যাসাকার ঘটিয়ে আমাদের মেরে ফেলবে এবং সে খবরও কেউ পাবে না।’
অন্য দিকে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী ,নাশকতা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ও ভিডিও ফুটেজ কেটে কনটেন্ট তৈরী করা ও বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে দেশের সাধারণ জনগনের
নিরাপত্তা ও অস্থিরতা সৃষ্টি না করতে পারে বলে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই খুল দেয়া হতে পারে, তবে ইন্টারনেটের বিভিন্ন হামলা ও সংঘর্ষের কারণে তথ্যপ্রযুক্তির কিছুটা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানান।