মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন নবীনগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নোয়াগ্রামের বোরহান উদ্দিন এর বিরুদ্ধে মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে রিপন মুন্সির বাড়িতে নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় রিপন মুন্সির হুকুমে জোর করে স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নাটঘর গ্রামের মোহাম্মদ তোফায়েল মহাজন। এ সময় তিনি বলেন রিপন মুন্সি ২০১৯ সালে দখল করেছেন তার ৭ বিঘা জমি যার মূল্য ছিলো দের কোটি টাকা। শালিসি সভা করে ২০২০ সালে রিপন মুন্সি জমির দাম বাবদ ৪৫ লক্ষ টাকা দেন তোফায়েল মহাজনের ব্যাংক একাউন্টে, এর পর বাকী টাকা চাইলে দিবো দিচ্ছি বলে না দিয়ে সেই ব্যাংকের রশিদ দিয়ে ৭২ লক্ষ টাকা তোফায়েল মহাজনের কাছে পাবে বলে একটি মামলা করে দেন রিপন মুন্সি। সেই মামলায় দশ পনের দিন জেল খেটে বাড়িতে এসে দেখেন রিপন মুন্সি তার সারে আট বিঘা জমি দখল করে ফেলেছে, এর কিছু দিন পর তার বাকী ৪৯ শতক জমি ও কেটে রিপন মুন্সির সহযোগী রমজান মিয়া পুকুর বানিয়ে দখল করে ফেলেছে।
এর পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কোন বিচার না পেয়ে রিপন মুন্সি সহ তার আরো কিছু সহযোগীর নামে মামলা করেন কোর্টে। আর সেই মামলা কাল হয়ে দাঁড়ায় তোফায়েল মহাজনের, রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে কোন রকমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে শেষ রক্ষা পান তোফায়েল মহাজন দুই বছর আগে। এর পর আর এলাকায় আসার সাহস করেননি তিনি।
গেলো কয়েকদিন আগে নোয়া গ্রামের বোরহান উদ্দিন তাকে ফোন দিয়ে বলেন রিপন মুন্সির সাথে আপনার ঝামেলা টা শেষ করে দিবো রিপন মুন্সি আমাকে মানেন আমার কথা শুনেন তার কথা শুনে সরল বিশ্বাসে তার ফাদে পা দেন তোফায়েল মহাজন, তখন বোরহান উদ্দিন বলেন আপনার জায়গার টাকা আমি রিপন মুন্সির কাছ থেকে উদ্ধার করে দিবো তবে আমি যে ভাবে বলবো আপনাকে সেই ভাবে কাজ করতে হবে, এ কথায় রাজি হয়ে যান তোফায়েল মহাজন। তিনি বোরহান উদ্দিন এর কথামত চলে যান রিপন মুন্সির বাড়িতে তার ভাই দুলন মেম্বার কে নিয়ে, রিপন মুন্সির বাড়িতে পৌঁছে রিপন মুন্সি কে না পেলেও দেখা হয় বোরহান উদ্দিনের সাথে, তিনি তাদের নিয়ে ২য় তলায় যান রুমে ঢুকে দেখেন সেখানে বসে আছে সাত আট জনের একটি সন্ত্রাসী দল কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে নিয়ে রাম দা গলায় ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুইজনের কাছ থেকে ৬ টি খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর রেখে
বাড়ি থেকে বের করে দেন
এবং বলেন সকাল যেন এ এলাকায় আর তোকে না দেখি।
তোফায়েল মহাজন বলেন পরে আমার ভাই দুলন মেম্বার তার বাড়িতে চলে যায়। আর আমি কোন রকমে জান নিয়ে পালিয়ে আসি, আমি এখন নিঃস আমার সব শেষ বর্তমান মূল্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি রিপন মুন্সি ও তার বাহিনী নিয়ে নিলো। আমি পথে বসে গেছি, এক তো জমি হারিয়েছি তার উপর বাপ দাদার এলাকায় যেতে পারছি না ভয়ে। ঘটনার পর থেকে তোফায়েল মহাজনের ছোট ভাই দুলন মেম্বার বাড়িতে থাকতে পারছেন না সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকির কারণে। এ সময় তোফায়েল মহাজন বলেন আমরা আজ স্বাধীন দেশে পরাধীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই আমাদের কে তিনি যেনো বাঁচান।
এ বিষয় এ জানতে বোরহান উদ্দিন কে ফোন দিয়ে মারধর করে স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি মোবাইল কথা বুঝতেছেন না বলে লাইন কেটে দেন, আবারও মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।