ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে সেবা গ্রহিতা সাধারণ মানুষের কাছে হয়রানির অপর নাম হয়ে উঠেছে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তার কার্যলয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিএ কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তথ্য সূত্রে জানা যায়,২০২০ সালে বিজয়নগরে ঘুষ দূর্নীতির দায়ে প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সাময়িক শাস্তিতে পেয়ে বদলি হয়।২০২১ সালে এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে এমন কোন সেক্টর নাই যেখান থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন না এই কর্মকর্তা।চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে দেরি হলেই নিজের মনগড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করে মোটা অংকের জরিমানা ও জব্দ করে সে। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার ব্যক্তিগত আক্রোশ ও মোটা অংকের টাকা ধান্ধা করতে বেশির ভাগ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি কে ভুলে বুজিয়ে ব্যবহার করে থাকে। প্রায়ই দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সে নিজে উপস্থিত থেকে অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু মেশিন জব্দ করে পরে আবার টাকার বিনিময়ে এগুলো ছেড়ে দেয়।এতে করে তার পকেট ভারী হচ্ছে আর রাষ্ট্র হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব।এছাড়া বিভিন্ন ইজারার জামানতের টাকা ফেরত পেতে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
এবিষয়ে খেয়াঘাটের ইজারাদার চরগোসাইপুর গ্রামের ইকবাল জানান,সে তার খেয়াঘাটের ইজারার জামানতের টাকার পেতে২ মাস যাবত ঘুরতেছি,কিন্তু এই কামরুল তাকে আসলেই তারিখের পর তারিখ দিচ্ছে। এবিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমাকে তার রুমে বেঁধে পিটানোর কথা বলে গালমন্দ করে।
দৈনিক কেদেরখলা বালু মহল থেকে ৭০ হাজার টাকা করে নিত কামরুল এমন অভিযোগ এনে বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন জানান,কামরুল আমাদের উপজেলাকে লুটেপুটে খাচ্ছে, আমাদের বালু মহল থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা করে নিত,২ দিন দিতে দেরি হওয়ায় তীরে ভীড়ে থাকা ড্রেজার জব্দ করে সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়েছে।জাফরাবাদ বালু মহল থেকে প্রতিদিন ৪ লাখ টাকা করে নেয়ার কথা শুনছি।
তীরে ভীড়ে থাকা অবস্থায় জব্দ করা ড্রেজার মালিক আমজাদ জানান,তার মত দূর্নীতিবাজের ফাঁসি হওয়া উচিত। বালু মহলের ইজারাদাররা তাকে ঘুষের টাকা দিতে দেরি করায় আমার তীরে থাকা ড্রেজারে ধরে নিয়ে গেছে, পরে রাতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে ছেড়ে এনেছি।কিন্তু কোন সরকারি কাগজপত্র কিছুই দেয়নি।আমি সুদে এনে এই টাকা দিয়ছি।
ড্রেজার জব্দ করে রাতে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আবু মুসা কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,আমি ড্রেজার জব্দ করে ইউএনও অফিসের দায়িত্বে দিয়ে এসেছি,এরপর কি হয়েছে তা আমি জানি না।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ডাহা মিথ্যা কথা, প্রমাণ দিতে পারলে চাকরি করবে না বলে জানান।
এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান,ভোক্তভোগিদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।