ফরিদপুরে দুই বিতর্কিত সমবায় কর্মকর্তা আলম হোসেন ও আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আলম হোসেন ফরিদপুর জেলা সমবায় কার্যালয়ের জেলা কর্মকর্তা ও আফজাল হোসেন বোয়ালমারী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা। তারা দু’জন দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকৃত সমবায়ীদের হয়রানি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার সহ ১৫টি লিখিত অভিযোগ করেছে সমবায়ীরা।
ফরিদপুর জেলার ৭টি সমিতির বিশিষ্ট সমবায়ীরা লিখিতভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, সমবায় প্রতিমন্ত্রী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব, দুদক, সমবায় অধিদপ্তরের ডিজি, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপি দিয়েছেন।
স্মারক লিপিতে উক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এক বছর পূর্বে একাধিক অভিযোগ সমবায় অধিদপ্তর ও অন্যান্য স্থানে দাখিল করা হলেও সেগুলোর কোন সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই বলে দাবি করা হয়েছে। উক্ত স্মারক লিপিতে ওই দুই বিতর্কিত কর্মকর্তাকে জরুরীভাবে জেলার বাইরে বদলী করে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।
সমবায়ীরা স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেছেন, মোঃ আলম হোসেন ও মোঃ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছর ৩০ এপ্রিল বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম, সমবায়ী হয়রানি ও স্বজনপ্রীতি সংক্রান্ত অভিযোগ করা হয়। এতে তাঁরা অভিযোগকারী সমবায়ীদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের হয়রানি ও সমবায় সমিতির ক্ষতি করে আসছেন।
স্মারক লিপিতে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, জিম্মি করে ঘুষ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পতিত সমিতিকে সক্রিয় করে অসমবায়ীদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠানকে বহিরাগতদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা, পিছনের তারিখ ও স্মারক দেখিয়ে অডিট করা ও একতরফা নিবন্ধন বাতিল করার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দু’বার শুনানিতে অনুপস্থিত থেকে প্রশাসনকে অবজ্ঞা করা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানকে হেনস্থা করা, ফরিদপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিঃ এর কার্যক্রমে গুজব সৃষ্টিকারীদের সাথে যুক্ত ছিলেন ওই দুই কর্মকর্তা। সমবায় ব্যাংকের নির্বাচনে অবৈধভাবে ক্ষমতা খাটিয়ে জালিয়াতি, প্রার্থীদের হয়রানি ও প্রভাব বিস্তার করা সহ সমবায় দিবসের অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগও উল্লেখ করা হয়ছে স্মারক লিপিতে।
এছাড়াও ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা সমবায় কর্মকতা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলায় প্রায় দুই যুগ কর্মরত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অভিযোগকারী সমবায়ীরা জানান, আমরা ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়ে অবহিত কছি। তাঁদের জরুরী ভাবে বদলী করে সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা পদায়নের জন্য দাবি জানিয়েছি। জেলায় পল্লী ও সমবায় আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে দুর্নীতি পরায়ন ওই কর্মকর্তাদের এক মাসের মধ্যে বদলী করা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করবো