চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত গুলিয়াখালী বিচ কে সবার সহযোগীতায় একটি আদর্শ বিচ হিসাবে গড়ে তুলা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম।
শনিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের (১,২ ও ৩) মহিলা সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফুর নূর সিদ্দীকা মনির আয়োজনে ও দিদারুল আলম মৎস্য প্রজেক্টের সৌজন্যে ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরো বলেন, মুরাদপুর ইউনিয়নে একটি গুলিয়াখালী সী বিচ রয়েছে, মাঝে মাঝে আমরা এখানে ঘুরতে আসি। এটি কে বাংলাদেশের একটি আর্দশ ও সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঈদ পূর্ণমিলনীর মতো এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য দিদার মৎস্য প্রজেক্ট কে ধন্যবাদ জানা তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এও মোঃ ইউনূস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন, সীতাকুণ্ড রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন, এ্যাডভোকেট নেহার রঞ্জণ, উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জামশেদ উদ্দীন, মুরাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা মধ্যাহ্নভোজ শেষ করে দিদারুল আলম মৎস্য প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণ লক্ষ বাস্তবায়ন করতে এই ধরনের মৎস্য প্রজেক্টের অবদান ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক বলে জানান তারা। এসময় প্রজেক্টকে কথিত ভূমিদস্যু ও দখলদারের হাত থেকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ সহয়োগীতার কথা বলেন অতিথিরা। মাছ উৎপাদনসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি আবাদে বাঁধাগ্রস্ত না হয় এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান উপস্থিত সকলে।