কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
চার মাস ১০ দিন পর ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। দানবাক্স খুলে এবার টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও পাওয়া গেছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।
এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় দানবাক্সে, যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিরকুট লেখেন। চিরকুটে লেখাছিল— বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না।
আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. সারভীন আক্তার। আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করেন।
এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা— আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই, একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রেখ। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।
গণনায় ৯৮ জন মাদ্রাসার ছাত্র ৯ জন শিক্ষক ৭০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছে।
এর আগে সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।