নকল দলিল ও খারিজ করে দীর্ঘদিন ভয়ভীতি দেখিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত পরিবার আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ফিরে পেয়েছেন তাদের সম্পদ,সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে কুচক্রী মহল ভুল তথ্য প্রদান করে মিডিয়ার মাধ্যমে হয়রানি করার চেষ্টা করছে এখন।
এমনি অভিযোগ করে পূবাইল সাংবাদিক ক্লাবসহ গাজীপুরের বিভিন্ন প্রেসক্লাবের বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
লিখিত অভিযোগে পরিবারের লোকজন ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ্য করে লিখেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩১নং ওয়াডের দাক্ষিন খান এলাকার কুখ্যাত ভূমিদস্যু আবদুল লতিফ মিয়ার পুত্রগংদের কবল হইতে আমাদের ওয়ালি- ওয়ারিশগণের সম্পত্তি উদ্ধারকল্পে রানাগং কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন প্রতিকুলতার বিষয়ে আপনাদের অবহিত করার জন্য এই আবেদন। আমাদের নিম্ন তফসিলভুক্ত সম্পত্তিঃমৌজা- দাক্ষিনখান, সিএস ৫০ খতিয়ানের সিএস ২১২ দাগের ২.৫৪ একর ভূমির মালিক রোসন আলী ও হাকিম আলী, পিতা- মৃত, অটল সেখ, সাং- নিজ। উক্ত রেকর্ডীয় মালিক হয়ে হাকিম আলী ০১ (এক) কন্যা সন্তান ও ০১ (এক) ভাই রেখে মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত হাকিম আলী মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ত্যাজ্যবিত্ত সম্পত্তিতে রোসন আলী বেরাধরি হক হিসেবে ০.৬৩৫০ একর ভূমি ও নিজ অংশ ১.২৭০০ একর মোট = ১.৯০৫০ একর ভূমির মালিক হন। রোসন আলী ১.৯০৫০ একর ভূমির মালিক হয়ে মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ওয়ারিশগণের নামে এসএ ও আর এস রেকর্ড হয়। ০১ (এক) পুত্র মোঃ চান মিয়া এসএ রেকর্ডে মালিক হয়ে বিগত ৩০/০৭/১৯৫৯ ইং তারিখের ১৫১৪৮ নং সাফ কবলা দলিলে আলেকের ন্নেছার নিকট বিক্রয় করেন। উক্ত দলিলে আলেকের নেছার নামে আরএস রেকর্ড হয়। আরএস রেকর্ডে আলেকের নেছা মালিক হয়ে বিগত ০৮/০৬/১৯৭১ ইং তারিখের ৩১১৪ নং দলিলে ১। আবদুল কাদের, ২। আবদুল হামিদ, ৩। আবদুল লতিফ এর নিকট সাফ বিক্রয় করেন। উক্ত দলিলে মালিক হয়ে বিগত ২৫/০২/১৯৭২ইং তারিখের ১৮০৯ নং এওয়াজ পরিবর্তন দলিলে মোঃ দুধু মিয়া ও লাবু মিয়ার বরাবরে ০.৭০০০ একর ভূমি এওয়াজ করেন। উক্ত এওয়াজ দলিলে মোঃ দুধু মিয়া ও লাবু মিয়া ০.৭০০০ একর ও আরএস রেকর্ডে ২০০০ একর মোট = ০.৯০০০ একর ভূমির মালিক হন। উক্ত মালিকানায় মোঃ দুধু মিয়া ও লাবু মিয়া মালিক হয়ে মৃত্যুবরণ করিলে তাহাদের ওয়ারিশগণ মালিক হয়ে বিগত ২৮/০৪/২০২২ইং তারিখের ১৭৬৩৭/২১-২২ নং নামজারি নথি মূলে ৪৯০২ নং জোত সৃজন করেন।
উক্ত সম্পত্তি ভূমিদস্যু রানাগং তাহাদের সম্পত্তি দেখাইয়া রেলওয়ে ঠিকাদারী ইন্ডিয়ান প্রতিষ্ঠান এ এফ কন এর নিকট ভাড়া প্রদান করে। উক্ত সংবাদ পাইয়া আমরা স্থানীয়ভাবে রানাগং এর নিকট যাই, কিন্তু তাহারা আমাদের কোনো কথাই শুনে না। বাধ্য হইয়া প্রাক্তন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বরাবর দরখাস্ত দেই। তিনি সদর থানা ওসির নিকট সুপারিশসহ প্রেরণ করেন। ওসি মহোদয় রানাগংদের ডাকিলে সে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয় বরাবর দরখাস্ত দিলে তিনি পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট সুপারিশসহ প্রেরণ করেন। আমরা পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট গেলে তিনি ডিসি উত্তর মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করেন। ডিসি উত্তর, এসি উত্তর যৌথভাবে রানাগংসহ আমাদের নিয়ে তাহার অফিসে বসিলে রানাগং আমাদের সম্পত্তি স্বীকার করিয়া নেয় এবং আর ঝামেলা করিবেনাবলিয়া জানায়। কিন্তু পূণরায় আমাদের বাধা দিতে থাকে। রানাগং আমাদের জায়গার বিক্রিতদলিল উপস্থাপন করিয়া খারিজ করিয়া নিলে আমরা আমাদের নামে খারিজ করার জন্য মিস কেইস করি। উক্ত মিস কেইস বলে আমরা ভূমি অফিসে গিয়ে আরএস খতিয়ান ১৫৬, আরএস দাগ-৩৬১ ও ৩৬০ মৌজা দাখিনখান জমি চেক দিতে গিয়ে দেখি জমি নাই। আমরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গাজীপুর এর আদালত মিস আপিল মোকদ্দমা নং- ৫৫/২০০৮ দায়ের করিলে তাহাদের খারিজ নথি নং- ৩১৬৩/৯৩-৯৪ বাতিল হয়। মোঃ মহিবুর রহমানওরফে তারা মিয়া জোত জমি মূল খতিয়ানে সামিল হবে। আবার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গাজীপুর এর আদালতে পূর্ণ বিবেচনায় আবেদন করে যাহার মিস আপিল মোকদ্দমা নং-৫৫/২০০৮ মোঃ নাছির মোল্লা গং এর পক্ষে ২২/০৯/২০১০ইং তারিখে আদেশ হয়। বিবাদী পক্ষ বিজ্ঞ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ঢাকা কর্তৃক ১৫১/২০১০ মিস আপিল মামলায় ২২/০৮/২০১০ইং তারিখে প্রদত্ত আদেশ হয়। ভূমি আপিল বোর্ড শাখা নং- ৩, ২য় ১২ তলা সরকারী ভবন ৮ম তলা, সেগুনবাগিছা, ঢাকা, মামলা নং- ৩-৭৫/২০১০ (নামঃ) আপিল-গাজীপুর মোঃ নাছির মোল্লা গং প্রতিপক্ষগণের পক্ষে ০৮/০৮/২০১২ ইং আদেশ হয়। ভূমি আপিল বোর্ড শাখা নং- ৩, ২য় ১২ তলা সরকারী ভবন ৮ম তলা, সেগুনবাগিছা, ঢাকা, মামলা নং- ৩-১২৩/২০১২ (নামঃ) ফুলবোর্ড, গাজীপুর মোঃ নাছির মোল্লা গং প্রতিপক্ষগণের পক্ষে ০২/০৪/২০১৭ ইং আদেশ হয়।পুলিশ কর্তৃপক্ষ এ.এফ.কন কোম্পানীর নিকট আমাদের জায়গা আমাদের বুঝাইয়া দেওয়ার জন্য যাইতে বলিলে আমরা এ.এফ.কন কোম্পানীর নিকট আমাদের ৯০ শতক জায়গা আমাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যাই। এ.এফ.কন কোম্পানী আমাদের বৈধ কাগজ উপস্থাপন করিতে বলে। আমরা আমাদের বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করিলে এ.এফ.কন কোম্পানী আমাদের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তাদের মালপত্র সরিয়ে নিয়ে যাইতে থাকে এবং আমরা আমাদের জায়গা দখলে নিয়ে নির্মান কাজ শুরুর নিমিত্তে অস্থায়ী ঘর তৈরী, নির্মান সামগ্রী আনায়ন, বিদ্যুৎ সংযোগ আনায়ন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক হোল্ডিং নম্বর খুলিয়া নির্মান কাজ শুরু করিলে উক্ত রানাগং আরো অন্যান্য সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের নির্মান সামগ্রী নিয়ে যায় এবং মারধর, ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া নির্মান কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়া বলে পূনরায় নির্মান কাজ করলে জানে মারিয়া ফেলিব। নির্মান কাজ করিলে হত্যার হুমকি দিয়ে দেয়। এই বিষয়ে সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করি। আমরা যেনো আমাদের জায়গায় কাজ করিতে না পারি সে জন্য রানাগং বিজ্ঞ জেলা জর্জ আদালতে অস্থায়ী ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে, যাহার নং- ৫৩৮/২৩। বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হইয়া তাদের মামলা খারিজ করিয়া দেয়। একইভাবে বিজ্ঞ এডিএম কোর্টে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় আমাদের জমির কাগজপত্র সঠিক ও দখল