কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ৯মার্চ ২০২৪ইং সন্ধ্যা ৭ঃ০০ ঘটিকায় উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট জামে মসজিদের ভিতরে একই এলাকার মোঃ আবুল হাসেমের পুত্র মোঃ রায়হানুল ইসলাম খোকন (৩২) মোঃ মাহবুবর রহমান (৪০) মোঃ আবুল হাসেম (৬০) মোঃ আব্দুল মোতালেব (৪৬) সকলের পিতাঃ মৃত ছহির উদ্দিন, সর্ব সাং পাড়ামৌলা ডাংরারহাট, ইউপিঃ বিদ্যানন্দ। তারা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ও শহিদ মিয়ার উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেন। পরে উপস্থিত মুসল্লীরা তাদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত দুজনের মধ্যে শহিদ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আহত শহিদ মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া জানান তার বাবা এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন। পুরাপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এর পর গত সোমবার ১১মার্চ ২০২৪ইং তারিখে মোঃ রায়হানুল ইসলাম খোকন (৩২) মোঃ মাহবুবর রহমান (৪০) মোঃ আবুল হাসেম (৬০) মোঃ আব্দুল মোতালেব (৪৬) সহ চারজনকে কে আসামি করে রাজারহাট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলার নং ০৪/২৪ইং
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি মাহবুবুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে তার নামে মামলা জোরপূর্বক ঢুকানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মামলার আইওকে দোষারোপ করেন। অথচ এই মামলার একাধিক সাক্ষী ছাড়াও তার আপন বড় ভাই আব্দুল গফুর মামলার প্রধান আসামি খোকন ও মাহবুব এর দোষ স্বীকার করে মিডিয়াতে সাক্ষ্য দেন। দুঃখজনক বিষয় হলো ঘটনার সাত দিন পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি খোকন ও মাহবুব কে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় মামলার বাদী শরিফুল ইসলাম শংকা প্রকাশ করে বলেন, আসামি খোকন ও মাহবুব একজন উগ্রবাদী তাকে দ্রুত গ্রেফতার করতে না পারলে সে আবারও আমার উপর হামলা করতে পারে।
এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুজন আসামি জামিন নিয়েছেন এবং মামলার ২আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে