চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ৩শ’ ট্রাক্টর নিত্য মালামাল পরিবহনে রাস্তাঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের দাপটে সড়কে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সড়ক ভেঙে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কৃষির উন্নয়নে এসব ট্রাক্টর আমদানি করা হলেও অনিয়ন্ত্রিতভাবেই মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ভাটার মাটি, ইট, বালু ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। এতে করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে উঠেছে।
মতলব উত্তরে উপজেলায় সরজমিন ঘুরে ট্রাক্টরের এমন দাপট দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের কাছে ট্রাক্টর এখন মহাযন্ত্রণার কারণ।
এ উপজেলার বাসিন্দা কালা মিয়া বলেন, ট্রাক্টরগুলোর বড়-বড় চাকার কারণে কার্পেটিংয়ের উঠে রাস্তাগুলোর বিবর্ণ দশা। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীদের। সব সময় আতঙ্ক নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে কোমলমতি ছোট ছোট শিশু ও এলাকার নারীরা।
ছেংগারচর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল বাতেন বলেন, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর ও ট্রলি চলাচল করায় রাস্তায় বের হয়ে সবসময় আতঙ্কিত থাকি।
ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গৃহিনী আসমা আক্তার ট্রাক্টর বন্ধের আকুতি জানিয়ে বলেন, দানব এই ট্রাক্টরগুলো চলাচলের কারণে আমরা ছোট ছেলেমেয়েদের রাস্তায় একা ছাড়তে পারি না। বাড়ির পাশে রাস্তা হওয়ায় আরো বিপদে আছি।
একই ইউনিয়নের রনি হোসেন বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে ট্রাক্টরগুলো। আমরা বুঝতে পারিনা, কার ইশারায় মতলব উত্তরে এগুলো মালামাল বহন করছে?
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোহাম্মদ শহীদ জানান, বেপরোয়াভাবে ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তা নষ্ট করতে না পারে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি ট্রাক্টর চালকদের। নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা জানান, ট্রাক্টরতো রাস্তাঘাটে থাকার কথা না, এগুলোতো থাকবে জমিতে। মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইনে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। আর অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে কোন যানবাহন দেওয়া ঠিক হবে না।