ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও জেলা পাট অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
“বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ”স্মার্ট পাট শিল্পের বাংলাদেশ”আর এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলায় জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামকৃষ্ণ বর্মন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মিথুন সরকার,পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির,জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী প্রমুখ। সে সময় বক্তারা বলেন যে,পাট আমাদের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আর এই পাটের প্রধান শত্রু পলিথিন।চারিদিকে পলিথিনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের পরিবেশ হুমকি স্বরূপ।বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে পলিথিনের ব্যবহার বাদ দিয়ে পাটজাতদ্রব্যের ব্যবহার করতে হবে। পাট বাংলাদেশের সোনালী ফসল।পাট ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে যাবতীয় আলোচনা এবং পাট শিল্পের বৃদ্ধিতে সহায়ক পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে।তা না করতে পারলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ বেশি হতে থাকবে।অন্যদিকে চাষীরা পাট চাষের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।প্রতিকুল আবহাওয়া,আঁশ ছড়ানোর জন্য জলাবদ্ধতার অভাব,উৎপাদনের তুলনায় বিক্রয়লাভ কম হওয়া সহ নানান সমস্যার সমাধান করার জন্য আলোচনা করেন।
অন্যান্যের মধ্যে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন,বিসিক শিল্প নগরীর উপ ব্যবস্থাপক নুরেল হক, ট্রেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট সুপারিনটেনডেন্ট শাহরিয়ার রায়হান,জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (কারিগরি) আলীমুজ্জামান,সুপ্রিয় জুট মিলের এজিএম মেহেদী হাসান,বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ পাট চাষী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।