নবীনগরে বিলের জমি থেকে ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার এমনি একটি খবর ছাপা হয়েছে জাতীয় পত্রিকায়,
১৯ ই জানুয়ারী শুক্রবারে,
সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে পরিবার যে মামলা করেছে সেখানে দেওয়া হয়নি কারও নাম। সন্দেহ মামলার ক্লু লেস হত্যাকাণ্ড ছায়া তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানাভাবে তদন্ত এগোয়। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় মৃত সাদ্দাম হোসেনের ভায়রা বাবুলকে। আদালত ও পুলিশের কাছে বাবুলের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পিবিআই জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় অটোরিকশাচালক সাদ্দাম হোসেনকে খুন করেন তাঁর ভায়রা।
পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রীকে ফেরত পেতে সহায়তা না পেয়ে বাবুলের ক্ষোভ ছিল শ্যালিকা ও তাঁর স্বামী সাদ্দামের ওপর। শ্যালিকাকে বিধবা করতে তাঁর স্বামী সাদ্দামকে হত্যা করেন বাবুল।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বাবুল জানান, রশি দিয়ে পেঁচিয়ে সাদ্দামকে হত্যা করেন তিনি । এর আগে সে ও সাদ্দাম একসঙ্গে ধূমপান করেছেন।
সাদ্দামকে সিগারেট দিয়েছিলেন বাবুল। তবে হত্যার পর তিনি অনুতপ্ত হয়ে আর ঘুমাতে পারেননি বলে দাবি করেছেন সেই রাতে।
গত ২২ জানুয়ারি সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জবানবন্দির বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার নবীনগরের দৌলতপুরের আশরাফপুর গ্রামে বিলের জমি থেকে সাদ্দাম হোসেনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় সাদ্দাম হোসেনের ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে নবীনগর থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত বাবুলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর থানার খায়ের বাংলা মধ্যপাড়া এলাকায়।
জবানবন্দিতে বাবুল জানান, এক ব্যক্তিকে ভাই ডাকতেন তাঁর স্ত্রী। ওই লোকের পরামর্শে স্ত্রীসহ নরসিংদী চলে গিয়ে সেখানেই জীবিকা নির্বাহ করতেন বাবুল। এক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়ান। বিষয়টি শ্যালিকা ও ভায়রাকে জানিয়ে সুরাহা পাননি বাবুল। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে শ্যালিকাকে বিধবা করার পরিকল্পনা করেন।
শচীন চাকমা বলেন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানাভাবে তদন্ত করে বাবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁকে নরসিংদীর ইটাখোলা গ্রাম থেকে গ্রেফতারের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’