দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগেই জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গভেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। আসনটিতে তিনি এবারই প্রথমবারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন।
৬ জানুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী ভোটারদের সাথে আলোচনা করলে তারা সেলিম মাহমুদের জয়ের পথে এগিয়ে থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভোটাররা বলছেন, কচুয়া আসনে সর্বত্রই নৌকার প্রচারণা। শুধুমাত্র কচুয়া বাজার ও মশাল এবং চেয়ার প্রতীকের প্রার্থীদের বাড়ী এলাকা ছাড়া কোথাও তাদের পোষ্টারও চোখে পড়েনি। তাছাড়া নৌকা ব্যাতীত অন্য কোন প্রার্থীর ঢালাওভাবে গণসংযোগ কিংবা প্রচারণা নজরে আসেনি।
জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ের তথ্য মতে, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে এবার ভোট হচ্ছে মোট ১০৯টি ভোট কেন্দ্রে। যেখানে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৫৯ জন ভোটার ভোট দিবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৮ জন। আসনটিতে নৌকার প্রতিপক্ষ হিসেবে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন মশাল’ প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ার প্রতীকে ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোঃ সেলিম প্রধান।
পৃথকভাবে মশাল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ার প্রতীকের মোঃ সেলিম প্রধান বলেন, ভোটের রায় জনগণের হাতে। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি। গণসংযোগ, পোষ্টার টানানোসহ সকল কাজই করে যাচ্ছি। এখন ভোটে জনগণ যে রায় দিবে তাই মেনে নিবো। তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবো কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য এখনি নয়।
এদিকে নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, আমরা ভোটারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মাঠ ময়দানে সর্বত্র প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছি। দেশের মানুষ উন্নয়নের গণজোয়ার অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবে। আমাদের কচুয়াবাসীও ভোটে প্রমাণ করবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আওয়ামীলীগের ঘাঁটি এই কচুয়া। ইতিমধ্যেই আমরা নৌকার নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠনসহ যাবতীয় কাজ গুছিয়েছি। আশা করি জনগণ ৭ তারিখ ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেই ঘরে ফিরবেন।