কুলাউড়া-২ –
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা রয়েছে শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘ প্রচারণার পর এখন ভোট উৎসবে মাতবে দেশ। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামীলীগের নেতা, কর্মী ও ভোটাররা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে আর এ সুযোগে এগিয়ে রয়েছে নির্বাচনে এমএম শাহীন। শেষ সময়ে নির্বাচনে প্রার্থীরা উপায় না পেয়ে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক ভাড়া করে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ভাড়া রাখছে বলে অভিযোগ করেছেন সোনালি আঁশ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এমএম শাহীন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য এমএম শাহীন। ৮ম ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিগত দুই বার জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সাধারণ মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে বহু বছর ধরেই। সাধারণ মানুষের সাথে এ সম্পর্ককে আমি যত্ন করি। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ভোটারদের কাছ থেকে প্রচার প্রচারনার সময় ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি, ভালবাসা পেয়েছি। জনপ্রিয়তায় আমাকে পেছনে ফেলতে না পেরে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা নির্বাচন বানচাল ও প্রভাব বিস্তার করতে নানা কৌশল নিচ্ছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় থেকে বহিরাগত লোকজন এনে বিভিন্ন বাসা, বাড়ি ও হোটেল ভাড়া করে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সাধারণ ভোটার সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনটি কখনো কোন দলের আয়ত্বে থাকেনি। এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রতীক ও বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে টানা দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী এমএম শাহীন। এ আসনে আরো নির্বাচন করছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শফিউল আলম নাদেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের শফিউল আলম সলমান ও কেচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন । একাধিক প্রার্থীতে কয়েক খন্ডে বিভক্ত হয়েছে পড়েছে আওয়ামীলীগে প্রার্থী। আর এসুযোগ কাজে লাগিয়ে সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছেন দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনালী আঁম প্রতীকের প্রার্থী এমএম শাহীন।
কুলাউড়ার রেল স্টেশনের চৌমুহনী এলাকার কথা হয় ভোটার আমিনুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, মৌলভীবাজার-২ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী শফিউল আলম নাদেল এ আসনের ভোটারই না, তিনি নাকি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভোটার। তার বাড়ি এখানে থাকলেও তিনি মাঝে মধ্যে আসেন, আওয়ামিলীগের প্রার্থী তো নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবেন না। তাহলে আমরা কেন তাকে ভোট দিবো। আমরা এমন প্রার্থী চাই যাকে সব সময় পাশে পাওয়া যাবে।
অপর ভোটার হযরত আলী বলেন, যে প্রার্থী নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবে না, তাকে কেন আমরা ভোট দিতে যাবো। ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, সারা বছরই খোঁজ নাই, এখন তিনি ভোট চাচ্ছেন। তবে ভোটাররাও সচেতন।