সোহরাব মৃধা ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন থেকে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি ।দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও মানুষের নানা অধিকারের দাবিতে সবসময়ই আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার এই রাজনৈতিক সংগঠনটি।
দলটির একটি বড় শক্তি তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ।দীর্ঘ ২১ বছর যখন ক্ষমতার বাইরে এই আওয়ামীলীগ তখন দলকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই সোহরাব মৃধাদের মত লাখ লাখ নেতা কর্মী। আর তাই হয়তো দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই বলে থাকেন -দলের দুর্দিনে কান্ডারী হচ্ছেন এই সোহরাব মৃধারাই।
৩মেয়াদে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দল এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় । এই সময়ে দলে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অনেকেরই যাদেরকে বলা হয় তাকে “হাইব্রিড” । আরো অনেকের মতোই আক্ষেপ করে ফ্রান্সে দলের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সোহরাব মৃধা আক্ষেপ করে বলেছেন – আমরা যখন আর্থিক কষ্টে ভুগছি এমনকি আমি নিজেও যখন নতুন একটি জুতা কেনার মত পয়সা নেই তখন হাইব্রিডদের পকেটে কাড়ি কাড়ি টাকা। দল ধ্বংস করতে আসা এসব “অনুপ্রবেশকারী ” বা “হাইব্রিডদের” বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকার জন্য তিনি সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে দল ও বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে তৃণমূলের ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী নিজের জমি বিক্রি করে দল চালিয়েছেন দুর্দিনে ।
প্রবাসে এসে কাড়ি কাড়ি টাকা কামানো কিংবা বিত্ত বৈভব‘র পেছনে সোহরাব মৃধাদের পড়ে থাকার কথা থাকলেও এরা দল ও দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে সেই অর্থে অর্থবিত্তের মালিক হতে পারেননি।তবে তাদের একটি বড় স্বান্তনা হচ্ছে , দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের মূল্য অপরিসীম।
দল যখন আবার ক্ষমতার বাইরে যাবে এই হাইব্রিডরাই হয়ত কেটে পড়বে সুবিধা নিতে “অন্যদিকে ভীড়” জমাবে কিন্তু এই সোহরাব মৃধাদের যতই মান-অভিমান থাক না কেন দলের দুর্দিনে এরাই ঠিক হাল ধরবে জনগণের আস্হার ঠিকানা প্রাচীন এই সংগঠনের ।