সাগর চন্দ্র স্বপন,আমিরাত।
দুবাইয়ে বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী রেহানা রহমান এর সম্মানে সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার শারজাহের একটি রেস্তোরায় ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির পক্ষ থেকে আয়োজিত সঙ্গীত সন্ধ্যায় আমিরাত প্রবাসী শিল্পী অজিত কুমার রায়ের সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন সালমা সাফায়েত, সুমনা দাস ও আঞ্জুমান আরা বেগম।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত রেহানা রহমান, যিনি প্রধানত নজরুল সঙ্গীত এবং আধুনিক বাংলা গানের জন্য পরিচিত। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ও কানাডায় অবস্থান করলেও দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেছেন। তার স্বামী প্রকৌশলী মসিউর রহমান ছিলেন দুবাই ইলেকট্রিক এন্ড ওয়াটার অথোরিটির ডিপার্টমেন্ট প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সঙ্গীত সন্ধ্যায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইজুন নাহার চৌধুরী সিআইপি, ইয়াসমিন ইসলাম মেরুনা, প্রকৌশলী আবু জাফর, প্রকৌশলী মসিউর রহমান, ফরিদ আহমেদ সিআইপি, মোঃ আব্দুল আলিম, আহমেদ আলি জাহাঙ্গীর, সিকদার মোহাম্মদ সাফায়েত, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী কামরুল চৌধুরী সহ আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
সঙ্গীত সন্ধ্যায় পরিবেশিত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, যখন থামবে কোলাহল, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, পাগল মন মনরে, যারে উড়ে যারে পাখি, এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়, ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা, দমা দম মাস্ত কলান্দর সহ অসংখ্য কালজয়ী গান পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করেন।
হারমোনিয়াম, তবলা, সেতার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে রেহানা রহমানের পরিবেশনা উপভোগ করেন উপস্থিত অতিথিরা। এদিন বাদ্যযন্ত্র কি-বোর্ডে শিমুল দেবনাথ, গিটারে সেলিম চৌধুরী, অক্টোপেডে সানি মজুমদার ও তবলায় অজিত রায় উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে নেন।
আয়োজিত সঙ্গীত সন্ধ্যার বিষয়ে শিল্পী রেহানা রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন আমিরাতে বসবাস করেছি। বর্তমানে কানাডা ও বাংলাদেশে থাকলেও দুবাইয়ের জন্য আমার মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকে। অনুষ্ঠান আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং এত এত অতিথিরা এসেছেন গান শুনতে, আমি আপ্লুত। সবার সাথে দেখা সাক্ষাত হয়েছে এবং চেষ্টা করেছি কিছু সঙ্গীত পরিবেশন করার, আশা করি অতিথিরা উপভোগ করেছেন।
আয়োজনের বিষয়ে অজিত কুমার রায় বলেন, সাবেক আমিরাত প্রবাসী শিল্পী রেহানা রহমানকে আমি ১৯৯৪ সাল থেকে সংগীতের জন্য চর্চা করতে দেখে আসছি। উনার মত গুনী শিল্পিকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত।