মোঃ জাবেদ আহমেদ জীবন
নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পরপর দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব—ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের সচেতন ভূমিকার কারণে এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
উৎসবের দিনগুলোতে উপজেলার প্রতিটি ঈদগাহ ও মসজিদে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। পুলিশ, আনসার সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা টিম প্রত্যেকটি ঈদ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পুলিশের টহল ও সিসিটিভি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, “আমরা জনগণের সহযোগিতায় পরপর দুটি ঈদে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে পেরেছি সেজন্য নবীনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও প্রকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পাশাপাশি এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে জনগণের আন্তরিকতা ও প্রত্যাশা কামনা করছি।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন উপজেলা প্রশাসন,থানা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা এবং জনগণের সচেতন ভূমিকায় আমরা পরপর দুটি ঈদ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পারায় আমি উপজেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন,ঈদের চলমান ছুটিতে সকলকে গোষ্ঠীগত/ব্যক্তিগত সংঘাত পরিহার করার আহবান জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পূর্বে বিভিন্ন সময়ে ঈদকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো ঘটনার সৃষ্টি হলেও এবার সম্পূর্ণভাবে স্বস্তিদায়ক পরিবেশে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছেন। নবীনগর পৌরসভার পঞ্চবটি এলাকার প্রবীণ নাগরিক হাজী ফরিদ মিয়া বলেন, “এমন শান্তিপূর্ণ ঈদ আমরা দীর্ঘদিন পর উপভোগ করলাম। প্রশাসন ও সচেতন নাগরিকদের আন্তরিকতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।”এজন্য নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এ ধরনের শান্তিপূর্ণ উদযাপন নবীনগরবাসীর সামাজিক সংহতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।