*বাইজিদ মন্ডল ডায়মন্ড হারবার:-*
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগর থানার বকুলতলাতে বেশ কয়েক বছর আগে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা উজির আলি মণ্ডল মারা যান।অভিভাবকহীন হয়ে পড়ায় গৃহবধূ মা সায়রা বানু মণ্ডলের পক্ষে তার সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া একরকম দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এমনই অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত পিতৃহারা এতিম কন্যা রুবিনা মন্ডলের আগামীদিনে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা ও পড়াশোনা করতে কোনরূপ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি যাতে না হয়, তার সমূহ দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার গ্রহণ করেন মানবতা’র পক্ষে। ওই এলাকার শিক্ষানুরাগী খুরশিদ আলম ও মানবতার সদস্য বাবুসোনা মোল্লার আবেদনে।এবং তখন থেকে তার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী টিউশন ফিজ পুস্তকসামগ্রী ব্যাবস্থা করা হয়। এগিয়ে এসে পাশে দাঁড়ায় উত্তর কোরিয়াতে কর্মরত প্রবাসী ভারতীয়, বাংলার সুসন্তান, মুর্শিদাবাদ জেলার ইমরোজ আহমেদ। রুবিনা এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলো। কদিন আগে রুবিনার রেজাল্ট রের হয়। সে মোট ৪২৮ অর্থাৎ ৮৫.৮% পেয়ে সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছে,বিশেষ করে তার মা এর। হাজারো প্রতিকুলতাকে অতিক্রম করে তার এই সফলতায় তার পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছে সে।পাশাপাশি মানবতা পরিবারের এটা একটা সফলতা বলা যেতে পারে।বর্তমানে রুবিনা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। বর্তমানে তার অভিভাবক তাকে সুপাত্রস্থ করেছে নিকটস্থ এক পরিবারে। জানা যায় তার শশুরবাড়ি তার পাশে থেকে তাকে শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী বা সম্মত। মানবতার সংস্থা সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী পিয়াদা জানান, হারিয়ে যেতে বসা অসহায়,অনাথ দের শিক্ষার মূল স্রোতে রক্ষা করা বা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার এটা একটা বড় সফলতা।”আর্থিক প্রতিবন্ধকতা যেন কোনও অসহায় এতিমের শিক্ষার অন্তরায় না হয়”এই বক্তব্যের উপর দাঁড়িয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই স্লোগান এর সুফল আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় এলাকার মরিচা গ্রামের পিতৃহারা কন্যা আনিকা পারভীন মানবতা’র তত্ত্বাবধানে টিউশন বইপত্র ইত্যাদি পেয়ে আল-আমীন মিশন এর মতো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হয়ে মিশনের ঢোলা শাখায় পড়ছে ষষ্ঠ শ্রেণীতে। যার শিক্ষার দায়িত্ব মানবতা বহন করে চলেছে। তিনি রুবিনা-আনিকাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সাথে কামনা করেন, তারা যেন পিতার অবর্তমানে তাদের মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে এবং চূড়ান্ত সফলতায় পৌঁছাতে পারে,আগামীতে তারা আরো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গ্রামের ও তাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করে এটাই কামনা করি।