নিউজ ডেস্ক, রিপোর্ট,,।
বান্দরবান কখনো থেমে আবার কখনো অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে বান্দরবানে। আর বৃষ্টি হলেই আতংক ভর করছে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের। তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য এরইমধ্যে জেলা-উপজেলা প্রশাসন থেকে করা হচ্ছে মাইকিং।
এছাড়া ৩ দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের মাতামূহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এতে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আগের তুলনায় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি বলেন, সেই অনুসারেই বন্যায় প্লাবিত এলাকা ও ভূমি ধসের ঘটনা যেখানে ঘটেছিল সেগুলো এবং পাহাড় কেটে নতুন যে স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলোকে ফোকাস করে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে বান্দরবানে সদরসহ সাত উপজেলায় ২২০ টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তার মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৪৬টি, রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৯টি, থানচি উপজেলায় ১৫টি, লামা উপজেলায় ৫৫টি, আলীকদম উপজেলায় ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৪২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে জেলা সদরে ৩ জন, ২০০৯ সালে লামা উপজেলায় শিশুসহ ১০জন, ২০১০ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় শিশুসহ ১০ জন, ২০১১ সালে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ জন, ২০১২ সালে লামা ফাইতং ইউনিয়নে ২৮ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১০ জন, ২০১৩ সালে পৌর শহর কালাঘাটায় ২ জন, ২০১৪ সালে সদরে ৪ জন, ২০১৫ সালে লামায় ৬ জন ও সদরের বনরূপা পাড়ায় ৩ জন, ২০১৭ সালের সদরের কালাঘাটায় ৭জন ও রুমা সড়কে ৫ জন, ২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ জন ও লামায় ৪ জন, ২০১৯ সালে লামায় ১ জন, ২০২০ সালে আলীকদমের মিরিঞ্জা এলাকায় ১ জন, ২০২১ সালে ছাইঙ্গ্যা ঝিরিতে এক পরিবারের ৩ জন, ২০২৩ সালে মা-মেয়ে ২ জন ও সর্বশেষ চলতি বছরে নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে নিহত হন ১ জন কৃষক।