যীশু সেন, প্রতিনিধি :
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’। এক সুরস্নিগ্ধ পরিবেশে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গানের মধ্য দিয়ে দুই মহান কবির স্মরণে আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় অগ্রজ শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে নজরুলের জাগরণমূলক গান “জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা” দিয়ে। এর পরে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ছোঁয়া গান “আমার মাথা নত করে দাও”, যা শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। অনুজ শিল্পীদের কণ্ঠে শোনা যায় নজরুলের “দূর দ্বীপবাসিনী চিনি তোমারে চিনি” এবং রবীন্দ্রনাথের “আমরা সবাই রাজা”, যা অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত ও বহুমাত্রিক।
সাংস্কৃতিক এই আয়োজনে সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রিষু তালুকদার। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লায়ন কৈলাশ বিহারী সেন, সাংবাদিক যীশু সেন, প্রকৌশলী রিমন সাহা, ডা. সৌমিত্র দাশ, প্রভাষক ঝুমুর খাস্তগীর, চুমকি সেন, মো. আলমগীর, নাদিয়া সুলতানা, নয়ন গুহ, সোহান হোসেন, প্রকৌশলী সৌমেন দাশ, বৃষ্টি ঘোষ ও অপর্ণা চৌধুরী।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম শুধু দুই কবি নন, তাঁরা আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও মানবতার অনন্য দিকপাল। তাঁদের রচনার ভেতর রয়েছে জীবনের গভীরতা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান। রবীন্দ্রনাথের দর্শন আমাদের আত্মার মুক্তির পথ দেখায়, আর নজরুল আমাদের বিদ্রোহী চেতনায় উজ্জীবিত করে। তাদের সৃষ্টি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য সম্পদ।
অনুষ্ঠানটি বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার করা হয়, যার মাধ্যমে অনলাইন দর্শকরাও এ আয়োজন উপভোগের সুযোগ পান।
বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের এ আয়োজন প্রমাণ করে দেয় যে বাংলা সংস্কৃতির শিকড় আজও সুগভীর এবং সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর মতো আয়োজন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও বর্ণময় ও সমৃদ্ধ করে তোলে।