*বাইজিদ মন্ডল কুলপি:-*
কাশ্মিরের পাহেলগাওয়ে বর্বরোচিত সন্ত্রাসবাদী হামলা,২৬ হাজার চাকরি বাতিল,রাজ্যে দুর্নীতি ও বঞ্চনার প্রতিবাদে,সংশোধিত ওয়াকফ আইন ২০২৫ বাতিলের দাবি সহ কুলপির বাবুর মহল অঞ্চলে আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধর ও সদস্যকে অপহরণে যুক্তদের শাস্তির দাবিতে দক্ষিন ২৪ পরগনা কুলপি রাজনগর প্রাইমারি স্কুলের সন্নিকটে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিবাদ সভায় আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী কুলপী বাবুরমহল অঞ্চলে আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধর ও তাদের কে অপহরণ করে সেই সব দুষ্কৃতীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন। এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবি তুলে তিনি বলেন এই বাংলার মাটিতে, রাস্তায়, মাঠে, ময়দানে এই ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে তাকে রুখে দেখান। তিনি আরো বলেন আমাদের ওয়াকফ সম্পত্তি এই রাজ্যে বেহাত হয়ে যাচ্ছে, আর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দিল্লিতে আন্দোলন করতে। এর কারণ ব্যখ্যা করে নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, এখানে আন্দোলন হলে সারা ভারতে ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলন জোরদার হবে। সেই জোরদার আন্দোলনের চাপে বিজেপি বিপদে পড়বে। সেইজন্য বিজেপি যাতে বিপদে না পড়ে তার জন্য তৃণমূল নেত্রীর এত উৎকণ্ঠা। তাছাড়া এই রাজ্যে যেসব ওয়াকফ সম্পত্তি বেহাত হয়ে আছে, যার সঙ্গে তাঁর দলের অনেকেই যুক্ত, সেটাকেও তিনি ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চাইছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আইনী লড়াই চলছে, তেমনই রাস্তাতেও আন্দোলন চলবে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে তাই পদ্মফুলের সাথে সাথে জোড়াফুলকেও বিদায় করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান আইএসএফ চেয়ারম্যান।
নওসাদ সিদ্দিকী এদিন কাশ্মীরের পাহেলগাওয়ে জঙ্গী হানা প্রসঙ্গে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে সরব হন।তিনি বলেন, ঐ বর্বরোচিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে সেটাও তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা কাণ্ডের মতন তদন্ত রিপোর্ট চেপে রাখলে চলবে না। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের আত্ম বলিদানের কথা রাজনৈতিক কারবারীরা মর্যাদা দেয়না। তারা শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়াও আজকের এই প্রতিবাদ সভায় দলের জেলা নেতৃত্ব আব্দুল মালেক,এডভোকেট সাহাদাত সাহ সহ জেলা ও ব্লকের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।