ঢাকারবিবার , ২৫ মে ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দীঘায় ত্রিদেশীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এ ক্যারাটে স্বর্ণ পদক জয় ডায়মন্ড হারবার ট্র্যাডিশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ক্যারাটে ছাত্ররা

প্রতিবেদক
majedur
মে ২৫, ২০২৫ ৯:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

*বাইজিদ মন্ডল ডায়মন্ড হারবার:-*

 

মডার্ন শোতোকান ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার আয়োজিত নিউ দীঘায় ত্রিদেশীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ডায়মন্ড হারবার ট্র্যাডিশনাল ফেডারেশন অফ শতকান ক্যারাটে এক্যাডেমি থেকে সেন্সেই মৃণাল ঘোষের প্রশিক্ষণে ৮ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। তার মধ্যে চার জন ছাত্র ও চার জন ছাত্রী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে দুটি করে বিভাগ মিলিয়ে সর্বমোট ১৬ টি পদক, ৭টি স্বর্ণপদক,৩টি সিলভার ও ৬টি ব্রোঞ্জপদক নিয়ে তারা দেশের হয়ে অর্জন করতে সক্ষম হয়। দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার গর্ব ত্রিদশীয় ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এ পদক জয়কে ঘিরে দিন বদলের স্বপ্ন। ১) প্রকৃতি গায়েন কুমিতে বিভাগে প্রথম ও কাতা বিভাগে দ্বিতীয় ৩৫ কেজি ১০ বছর,২) ইন্দিরা রায় কুমিতে বিভাগে দ্বিতীয় ও কাতা বিভাগে প্রথম ৩০ কেজি ১১ বছর,৩) অন্বেষা হালদার কুমীতে বিভাগে তৃতীয় ও কাতা বিভাগে তৃতীয় ২৯ কেজি ১১ বছর,৪) স্বপ্না সরদার কুমিতে বিভাগে তৃতীয় ও কাতা বিভাগে তৃতীয় ২৫ কেজি ১১ বছর,৫) শামিম খান কুমিতে বিভাগে দ্বিতীয় ও কাতা বিভাগে প্রথম ২৩ কেজি ৯ বছর,৬) সায়ন সাহা কুমিতে বিভাগে তৃতীয় ও কাতা বিভাগে দ্বিতীয় ২৭ কেজি ৯বছর,৭) আদিত্য হালদার কুমিতে বিভাগে প্রথম ও কাতা বিভাগে প্রথম ৩৩ কেজি১০ বছর, ৮) দ্বীপ সরদার কুমিতে বিভাগে প্রথম ও কাতা বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ৩২ কেজি ১১ বছর। সূত্রে জানা গেছে এখানে নেপাল ,সৌদি আরব, ইন্ডিয়া সহ মোট তিনটি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার এর কৃতি সন্তান,ক্যারাটে খেলোয়াড়রা ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় ৭ টি স্বর্ণপদক,৩টি সিলভার ,ও ৬ টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে এলাকাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এই অসাধারণ সাফল্যের মাধ্যমে তারা সারা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। ট্র্যাডিশনাল ফেডারেশন অফ শতকান ক্যারাটে একাডেমির সেন্সেই মৃণাল ঘোষ জানান দীর্ঘদিন ধরে ক্যারাটে চর্চা করে আসছেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের ফলেই এই স্বর্ণপদক অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠন ও প্রশিক্ষকদের মতে, এই সাফল্য তরুণ-তরুণীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। তাদের এই অর্জন প্রমাণ করে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কেউ আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ হতে পারে। কুমিতে বিভাগে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক জয়ের পর এক অন্যরকম অনুভূতির কথা জানালেন প্রকৃতি গায়েন।ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের হারিয়ে যখন বিজয়ীর মঞ্চে দাঁড়ালেন, তখন একদিকে যেমন আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন, অন্যদিকে বুক ভরে উঠেছিল দেশ ও এলাকার প্রতি ভালোবাসায়। সামিম খান বলেন, এই স্বর্ণ পদক শুধু আমাদের একার নয়। এটা আমার মা-বাবার আমার প্রশিক্ষকদের, আমার এলাকাবাসীর, যারা সবসময় পাশে ছিলেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল এই পদক যেন তার প্রথম ধাপ হয়। ইন্দিরা রায় বলেন,এই প্রতিযোগিতা সহজ ছিল না। প্রতিটি মুহূর্তে মানসিক চাপ ছিল আমাদের সকলের। কিন্তু আমি ভেবেছি আমরা বাংলার মেয়ে, পিছিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। মাঠে নামার পর শুধু জয়ের কথাই মাথায় ছিল। স্বপ্ন নয় সেটাই বাস্তব রূপে জিততে পেরেছি। এই অনুভব শুধু একটি খেলোয়াড়ের সাফল্যের গল্প নয়, এটি একটি মেয়ের দৃঢ় সংকল্প, স্বপ্ন দেখা ও তা অর্জনের সাহসী অভিযাত্রার প্রতিচ্ছবি। তাঁর কথায় উঠে এসেছে কৃতজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস এবং ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু করার প্রত্যয়। ডায়মন্ড হারবার গর্বিত তাদেরকে নিয়ে,আর তারা গর্বিত নিজেদের জনপদকে দেশব্যাপী পরিচিত করে তুলতে পেরে। তাদের এই অর্জন ভবিষ্যতে আরও অনেক তরুণ-তরুণীকে ক্রীড়া জগতে এগিয়ে আসার প্রেরণা জোগাবে।

Don`t copy text!