সুভাস দাস,।
পুষ্টি সচেতনতা শুরু হোক পরিবার থেকে— প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
পুষ্টিহীনতা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বড় অন্তরায়। এ চক্র ভাঙতে হলে পরিবার থেকেই সচেতনতা শুরু করতে হবে”—বরিশালের বাখেরগঞ্জের বোয়ালিয়ায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৯ মে) সকাল ১০টায় বাখেরগঞ্জের জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে গ্রামীণ জনসংখ্যা এবং পিকেএসএফ এর আয়োজনে
অনুষ্ঠিত ‘পুষ্টি সচেতনতা ও শিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ক’ এই সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সহায়তায় ছিল পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং আরএমটিপি প্রকল্প। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিশুদের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি শুধু তাদের বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করে।
খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতার মাধ্যমে পরিবার থেকেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।”পুষ্টি শুধু খাবারের মান নয়, বরং জীবনের মানও নির্ধারণ করে। শিশুর বেড়ে ওঠার পথে সুষম খাদ্যের অভাব যেমন দেহগঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তেমনি বুদ্ধিমত্তা, মনোযোগ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।
প্রধান অতিথি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং তৈরীর জন্য কৃষক জেলে এবং প্রাণিসম্পদ খাতের সকল খামারী এবং রৌদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদেরকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার হিসেবে ছিলেন পিকেএসএফ-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম, তিনি বলেন, “নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা দরকার। শিশু ও নারীরা হতে পারে এ আন্দোলনের অগ্রসেনা।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাখেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী রোমানা আফরোজ।
সভাপতিত্ব করেন বোয়ালিয়া জেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান মোল্লা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জিজেইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান রানা।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুধ, ডিম, ফলসহ পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়। আয়োজকেরা জানান, প্রতীকী এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পুষ্টির গুরুত্ব হাতে-কলমে বুঝতে শিখবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, নিয়মিত এমন উদ্যোগ চললে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে সুস্থ ও সচেতন।