ঢাকাবুধবার , ১৪ মে ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজ্যে ২০২৫ মাধ্যমিক এ চতুর্থ স্থান অধিকারী মা বাবা হিন সেলিম কে মানবতার পক্ষে বিশেষ ভাবে সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি পাশে থাকার আশ্বাস দেন*

প্রতিবেদক
majedur
মে ১৪, ২০২৫ ৯:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

*বাইজিদ মন্ডল*

মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে চতুর্থ স্থান ও জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে সমগ্র পূর্ব বর্ধমান জেলার গর্ব হয়ে উঠা কেতুগ্রাম থানার সিরুন্দি গ্রামের মা-বাবা হীন মেধাবী ছাত্র মোঃ সেলিম কে সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা মানবতা’র পক্ষে বিশেষভাবে সম্বর্ধনা জানানো হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায় তার নানা বাড়িতে। তাকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন ও শিক্ষা বিষয়ে পাশে থাকার বার্তা নিয়ে মানবতা’র তরফে প্রতিনিধি হিসেবে মোঃ জহির উদ্দিন সেখ ও কামালউদ্দিন শেখ তার বাড়ি পৌঁছে কার্যক্রম সম্পন্ন করে তার পরিবারের মানুষ নানা-নানী, মামা সহ স্থানীয় বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে।ব্যাচ-উত্তরীয়-পুষ্পস্তবকের মাধ্যমে সম্মান জ্ঞাপন এর সাথে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মৃতি স্মারক,শুভেচ্ছা স্মারক ও তার প্রয়োজনীয় পুস্তক সামগ্রী। শিক্ষাবিষয়ক যেকোনও প্রয়োজনে তার পাশে মানবতা থাকবে এই বার্তা তাকে পৌঁছে দেওয়া হয়। এদিন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি পিয়াদা উপস্থিত হতে না পারায়, উপস্থিত ছিলেন মানবতা’র প্রতিনিধি পূর্ব বর্ধমানের কামালউদ্দিন সেখ ওমহম্মদ জহির উদ্দিন সেখ, রক্তযোদ্ধা তরুণ সেখ,সমাজকর্মী জাহির খান,নানা আব্দুর সাত্তার সেখ, মামা ফজলে করিম সেখ, সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু তার এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস, যা কেবল একজন কৃতী ছাত্রের নয়, বরং এক গোটা পরিবারের আত্মত্যাগ ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।সেলিমের জীবন শুরু থেকেই ছিল কঠিন। ছোটবেলায় যখন সে মাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে, তখন তার মায়ের মৃত্যু হয়। একমাত্র বোনটিও পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় অকালেই। ঠাঁই হয় দরিদ্র নানা’র বাড়িতে। এমন কঠিন সময়ে যিনি সেলিমকে আঁকড়ে ধরে মানুষ করেছেন, তিনি তার মামা ফজলে করিম,যিনি গ্রামে ‘লিটন মাস্টার’ নামে পরিচিত।লিটন মাস্টার নিজেও একজন সাধারণ দরিদ্র মানুষ। পরিবারে উপার্জনের মূল উৎস ছিল টিউশনের সামান্য আয়। জমি-জমা ছিল না, আর্থিক নিরাপত্তাও খুব একটা ছিল না। তবুও তিনি কখনও সেলিমকে তার মা-বাবার অভাব টের পেতে দেননি। মামার বাড়ির ভালবাসা, আত্মীয়দের সহযোগিতা আর লিটন মাস্টারের অক্লান্ত পরিশ্রমই আজ সেলিমকে এই সম্মান এনে দিয়েছে।লিটন মাস্টারের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠা ও মানসিক শক্তি ছাড়া এ সাফল্য কখনও সম্ভব হতো না। গ্রামবাসীরা আজ গর্বের সঙ্গে বলেন, “লিটন মাস্টার একদিন সেলিমকে গড়ে তুলবে,এই বিশ্বাস আমাদের ছিল, আর আজ সেটাই সত্যি হলো।”সেলিমের এই অসাধারণ সাফল্য শুধু একটি ছাত্রের নয়,বরং একটি পরিবারের, একটি গ্রামের, একটি সংগ্রামী জীবনের বিজয়গাথা।ভবিষ্যতে সে যেন আরও উঁচুতে উঠে দেশ ও সমাজের গর্ব হয়—এই কামনা করেন মানবতা’র সাধারন সম্পাদক জুলফিকার আলি পিয়াদা।

Don`t copy text!