মো. আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মমতা বেগম নামে এক রোজাদার নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নারী প্রতিপক্ষের হামলায় আহত তার ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে নিহত হন। নিহত মমতা বেগম (৫৮) উত্তর লক্ষীপুর সিদ্দুর মোড় এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের স্ত্রী।
উপজেলার গোবরিয়া-আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর সিদ্দুর মোর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জিল্লুর রহমান সহ নিহতের ভাসুরের ছেলে নবী মিয়া ও তাঁর স্ত্রী শরিফা গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত মমতা বেগমের (জা- ভাসুরের বউ) মিরজাহান বেগম জানান, বিগত ২০ বছর যাবৎ একটি জায়গা তারা ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু এই জমি প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী ইয়াকুব আলীর ছেলে কালু মিয়া ওরফে কালাচাঁন ও নিয়াশা তাদের দাবি করে আসছে। এবং জমি নিয়ে অনেক সালিশ, দরবার হয়েছে, এবং মামলা মোকদ্দমা চলমান। সেখানে একটি আম গাছ রয়েছে। আজ ঐ আম গাছ থেকে মমতার ছেলে জিল্লু আম পেড়ে ফিরে আসে। পর ঐ গাছ থেকে আম পাড়ার জন্য প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী ইয়াকুব আলীর ছেলে কালু মিয়া ওরফে কালাচাঁন (৫৫) গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ শুনে জিল্লু আবার সেখানে গেলে প্রতিপক্ষ সহ তার লোকজন তাকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শাবলের আঘাতে গুরুতর আহত হন মমতা বেগম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মমতা বেগম সহ আহতদের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমতা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মমতা বেগমের ছেলে জিল্লুর রহমান সহ তার চাচাতো ভাই নবী ও তার স্ত্রী শরিফা গুরুতর আহত হয়েছেন। সেখান থেকে জিল্লুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এবং চাচাতো ভাই নবী ও তার স্ত্রী শরিফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নারী নিহত হয়েছেন এবং তার ছেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।