ঢাকাশুক্রবার , ২ মে ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রহিমানগর বাজারে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি

প্রতিবেদক
admin
মে ২, ২০২৫ ১১:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কচুয়া প্রতিনিধি,

কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বাজারে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি ও জোরপূর্বক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মোট সাতজনের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী মো. হাবিবুর রহমান (৪৭) হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ (বকুলতলা রোড) এলাকার বাসিন্দা। তিনি দাবি করেন, ২০০৮ সাল থেকে রহিমানগর বাজারে জেলা পরিষদের তিনটি দোকান ইজারা নিয়ে ভাড়া দিয়ে আসছেন। ওমর ফারুক ও দ্বীন ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি ‘ডিজিটাল সাইন অ্যান্ড অফসেট প্রেস’ এবং ‘ভূঁইয়া মেশিনারিজ’ নামে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তার দোকানগুলোতে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় মো. জিলানী, সুজন মিয়া, সোহাগ মিয়া, জাকির হোসেন, মিজান, কাউছার ও ফারুক হোসেনসহ আরও ৭-৮ জন দীর্ঘদিন ধরে ওই বাজারের দোকানদারদের কাছে নিয়মিতভাবে চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
হাবিবুর রহমানের দাবি, তার ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মোট ২৪ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এছাড়া ভাড়াটিয়া সুজন, জিলহজ্ব ও সেকান্তরের কাছ থেকেও একই কৌশলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা তার দোকানে এসে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তা না দেওয়ায় দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযুক্তের মোবাইল নমার থেকে সাক্ষীদের ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। হাবিবুর রহমান দাবি করেন, দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এসব ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।
তিনি বলেন, “এই সন্ত্রাসীদের কারণে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।”
বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দেন হাবিবুর রহমান।
এদিকে গতরাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি সুজন মিয়া (৩০), পাড়াগাঁও গ্রামের ইমান আলীর ছেলে, এবং ৫ নম্বর আসামি কাউছারকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুজনকে আটক করেছি এবং তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

Don`t copy text!