সুভাস দাস,
ভোলায় বাংলাদেশের জাতীয় সংবিধান বিরোধী ফ্যসিবাদী এমপি জ্যাকবের উপর শয়তানের মত ভর করে ও পৌরসভা বাস্তবায়ন আইন লঙ্ঘন করে চরফ্যাসন উপজেলা পরিষদের দক্ষিনের স্টেডিয়ামটি- ভারতের সংবিধান বিরোধী ওয়াকফ আইন বাতিলের মত; বাতিল করার জন্য বিশাল জনসভা না হলেও — আইনে আছে স্টেডিয়ামটি বেআইনী, অবৈধ, অসভ্য ও ভূয়া।
১৯৯০ ইং সালে চরফ্যাসন উপজেলা সদরে চরফ্যাসন পৌরসভা নামে একটি পৌরসভা গঠিত হয়। মর্যাদাগতভাবে তখন চরফ্যাসন পৌরসভাকে “তৃতীয়” গ্রেডের বা “সি” গ্রেডের বা “গ”গ্রেডের মান দেওয়া হয়। পৌরসভার প্রতিটি অবকাঠামোর নাম, ঠিকানা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানোর বিধান থাকলেও “গ” গ্রেডের পৌরসভা হওয়ার পূর্বাপর সময়ে চরফ্যাসন পৌরসভার অবকাঠামোগুলোর কোন নাম ঠিকানা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয় নাই।
এমনকি পৌরসভার অধীনের ভূমিকে নাগরিক সেবা প্রদানের দশ প্রকারের সেবাদান খাতে ব্যবহারের বিধান থাকলেও চরফ্যশন পৌরসভার ভূমির বর্ণনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয় নাই। “খ” গ্রেডে উন্নীত করা কালেও পৌরভূমিকে যেই দশ খাতে ব্যবহার করার বিধান আছে- সেই বিধান মোতাবেক কোন কোন খাতে চরফ্যাসন পৌরসভার কোন্ কোন্ জমিগুলো আছে তার কোন হিসাবও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দেওয়া হয় নাই। এমন অস্বচ্ছ ও গোঁজামিলের চরফ্যাসন নামক একটি পৌরসভাকে গত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে “ক” গ্রেডের পৌরসভায় উন্নীত করা হয়।
ক” গ্রেডের চরফ্যাসন পৌরসভায় কাঙ্খিতমানের নাগরীক সুবিধা না থাকায় পৌরসভার আবাসিক ভূমি, শিক্ষা ভূমি, সংস্কৃতি ভূমি, আরবান সোর্সের ভূমি, স্বাস্থ্য ভূমি, শিল্প ভূমি, কমার্শিয়াল ভূমি, উম্মুক্ত/বিনোদন ভূমি, জলাশয় বা অন্যান্য সহ মোট দশ প্রকারের ভূমির খোঁজ নিয়ে দেখা যায় যে, চরফ্যাসন উপজেলা পরিষদের সামনেই এক স্টেডিয়াম।
ক” গ্রেডের পৌরসভায় স্টেডিয়াম থাকার বিধান না থাকা সত্ত্বেও- কেন স্টেডিয়াম? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউ কেউ বলে ওঠে যে, স্টেডিয়াম পৌরসভা গড়ে ওঠার আগের থেকেই আছে। অথচ- উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে কিছুই জানানো হয় নাই।
তাই সকলেরই দাবী হলো এই যে, বিধি বিধানহীন ও অসাংবিধানিক ঐ চোরাই বা ভূয়া স্টেডিয়াম অনতিবিলম্বে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের নির্দেশে বাতিল হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্রের টাকা মেরে দেওয়ার জন্য চরফ্যাসন উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে বা দক্ষিণে স্টেডিয়াম রেখে চরফ্যাসন পৌরসভা করা হয়েছে।