যীশু সেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
আলোকিত সমাজ গঠনে পাঠাগার আমাদের সঙ্গী। শিক্ষার শেকড় মজবুত করে পাঠাগার। বই পড়া অভ্যাস গড়ুক মানবিক মূল্যবোধে। যেখানে বই সেখানেই জীবনের আলোর পথ। বইয়ের বন্ধনে গড়ে উঠুক মানবিক সমাজ। আপন পাঠাগার আমাদের জ্ঞানচর্চার এক মহামূল্যবান উদ্যোগ। বই আমাদের জীবনের প্রকৃত বন্ধু-যে কখনো আমাদের একা হতে দেয় না। এই পাঠাগার শুধু বই রাখার স্থান নয়, এটি একটি চিন্তার আশ্রয়স্থল, সৃজনশীলতার ঘর। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি। নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই পাঠাগারকে আরও সমৃদ্ধ করি এবং একটি আলোকিত সমাজ গড়ার পথে এগিয়ে যাই। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষিত সমাজ গঠনে পাঠাগার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আপন পাঠাগার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করে তুলতে এমন উদ্যোগগুলো প্রশংসনীয়।
শিক্ষক শেখর ঘোষের “আপন পাঠাগার” একটি জ্ঞানের বাতিঘর। তাঁর উদ্যোগে অসংখ্য মানুষ বইয়ের মাধ্যমে আলোকিত হচ্ছেন। পাঠাগারটি শুধু বই পড়ার জায়গা নয়, এটি মানুষ গড়ার কারখানা। শেখর ঘোষের নিষ্ঠা ও ভালোবাসা সমাজে শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
“সু-শিক্ষিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে”এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাউজান পশ্চিম গুজরা সরকার পাড়াস্থ আপন পাঠাগারের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৩ টায় পশ্চিম গুজরা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা, সুধীজন মিলনমেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
সাতকানিয়া খাগরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপম মহাজনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার তাপস সরকার।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন সমাজকর্মী
নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাউজান প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যীশু সেন, রাউজান প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন রানা।
আপন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সহ-প্রধান শিক্ষক শেখর ঘোষ আপন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান বেগম রোকেয়া পাঠাগারের সভাপতি প্রিয়ম দে।
বক্তব্য রাখেন মিলন ঘোষ, খোকন ভট্টাচার্য, পাভেল চৌধুরী, শিমূল ঘোষ, ঋত্বিক দেওয়ানজী, অর্পিতা বিশ্বাস, নবনীতা, অবন্তিকা, ভূমিকা, চৈতি, উর্মি, শর্মি, জয়ন্তী, গায়ত্রী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে গুণীজন সংবর্ধনার সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান , পাঠকদের বই উপহার, কেক কর্তন, শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অন্যতম আকর্ষণ। স্থানীয় শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান, কবিতা ও আবৃত্তি দর্শকদের মন জয় করে নেয়। আপন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠান পরিণত হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশে।
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আপন পাঠাগার আরো বিস্তৃত পরিসরে জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং তরুণ সমাজকে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।