মো. আলী সোহেল, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদে জামাতে আগত মুসল্লিদের জন্য ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে দুটি ব্যাবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশ নিতে দুটি ট্রেন থাকছে মুসল্লিদের জন্য।
এরমধ্যে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে ঈদ জামাত শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরবে। অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে এসে জামাত শেষে আবারও ভৈরবে ফিরে যাবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও কিশোরগঞ্জ রেলওেয়ের স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ জংশন থেকে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে বিশেষ একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে এবং ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে দুপুর ৩টায় ময়মনসিংহে পৌঁছাবে। ট্রেনটি চলাচলের পথে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরিপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ী, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে দুই মিনিট করে যাত্রাবিরতি করবে।
অপরদিকে ভৈরব জংশন থেকে ভোর ৬টায় আরেকটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে এবং ঈদ জামাত শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে দুপুর ২টায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সূতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিম মকসুদপুর, মানিকখালি, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
এবার দেশের সর্ববৃহৎ কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়।