সুভাস দাস,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে ও এ অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি’র অনিয়ম দূর্নীতি দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। খাদ্য অফিসের জেলা ও উপজেলা অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মুখে এ নিয়ে নানা গুনজনের ডাল পালা মেলছে।অন্যদিকে উক্ত খাদ্য কর্মকর্তার নির্দেশে বাউফল উপজেলা অফিসে নিয়ম বহিভূর্ত বগা ও কালাইয়া গোডাউনের স্টাফ দুই রেজাউল ডিউটি করে যাচ্ছেন।
সুত্রে জানা গেছে, কমল গোপাল দে ও রনি বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ( আরসি ফুড) ও পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ( ডিসিফুড)’র আর্শীবাদে বহু অনিয়ম দূর্নীতি করেও পার পেয়ে চাকুরীতে বহাল রয়েছেন। কমল গোপাল দে বাউফলে সাড়ে ৩ বছর অতিবাহিত করলেও তাকে বদলীর নাম পর্যন্ত মুখে নেয় না সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কমল গোপাল দে বাউফলে ভালোই আছেন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনে তাকে ও তাঁর অদিনস্তদের বিরুদ্ধে লেখা লেখি কিংবা সংবাদ প্রকাশ হলেও তিনি বরাবরই থেকে যাচ্ছেন ধরা ছোয়ার বাইরে।
ফলে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে রনি ও দুই রেজাউল ছাড়া রফিকুল ইসলাম এবং জামাল মোল্লা কে। সুত্রে আরও জানা গেছে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমল গোপাল দে কালিশুরী ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোঃ কামাল হোসেন ও বজলুর পরিবর্তে কামালের ভাই মোঃ জসিম ও বজলুর জামাই ফরহাদ ওএবং তাঁর আত্নীয় ইলিয়াস মোল্লা কে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চালের ডিউ গত সপ্তাহে উত্তোলন করার সুযোগ দিয়ে অনিয়ম দূর্নীতি করে বগা গোডাউনের স্টাফ সুন্দর রেজাউল এর মাধ্যমে ৫ দু গুনে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁর পকেটে পুড়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও রনি ও দুই রেজাউল কমল গোপাল দে এর নির্দেশে বাউফলের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলারদের কাছ থেকে ডিউ প্রতি ৫০০ শত ও টিসিবির চালের ডিউ প্রতি ৪ জন ডিলার এর কাছ থেকে ৪০০ শত টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দাস পাড়ার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার মোঃ মজিবুর রহমান ইতিমধ্যে পত্র পত্রিকা এবং মাল্টিমিডিয়ায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তবুও তাঁর থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কমল গোপাল দে ও রনি এবং দুই রেজাউল তাকে টিসিবির চালের ডিউ দিয়ে যাচ্ছে।
তাদের বিরুদ্ধে নানা দপ্তরে অভিযোগ , মামলা ও সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে ও তাঁরা থামছেনা বরংচো অনিয়ম দূর্নীতির মাত্র তাঁরা দিন কে দিন বাড়িয়ে দিয়েছেন। এত কিছুর পরেও কমল গোপাল দে এর ব্যক্তিগত সহকারী ও উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি কে আজকে ২৪ মার্চ সোমবার পর্যন্ত অফিসে দাপ্তরিক কাজ কর্ম সাড়তে দেখা গেছে। এ বিষয় জানতে বাউফল খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে এর ব্যক্তি গত সহকারী ও উক্ত অফিসের খন্ডকালীন ঝাড়ুদার রনি সওদাগার এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি চাকরি করি কমল গোপাল দের, এখানে সাংবাদিকদের কি, কমল গোপাল দে যতক্ষণ আমাকে বাউফল অফিসে রাখবেন ততক্ষণ তিনি অফিসে থাকবেন, কে বাউফল খাদ্য অফিস থেকে তাকে সড়ায় সে দেখে নেবে তাকে। উক্ত ব্যাপারে জানতে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন বলেন, সাংবাদিকদের কোন প্রকার প্রশ্নের উত্তর এবং তথ্য দিব না৷ এ কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দে এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি। এ বিষয় জানতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মুঠোফোনে কয়েক বার কল দিলেও প্রতিবারই তাঁর ফোন কল ব্যাস্ত পাওয়া যায়।
এজন্য তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উক্ত বিষয় মুঠোফোনে পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি পটুয়াখালী আছি,বাউফলের টিসিএফ’র নিকট ফোন দিতে বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।