ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অপরাধী পুলিশদের বিচার করে বাহিনীর গৌরব ফেরানো হবে:রংপুরে আইজিপি

প্রতিবেদক
admin
মার্চ ৬, ২০২৫ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সবচাইতে বেশী মনোযোগ দেয়া হচ্ছে কারণ এটাই আমাদের ল্যান্ডমার্ক কেস। তিনি বলেন, এটা যেন কোনভাবে বিচার ফেইল না করে সে জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। আইজিপি বলেন, বর্তমানে আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বিভিন্ন বাধা ও আক্রমণের শিকার হচ্ছে পুলিশ এসময় তিনি অনুরোধ করে বলেন, সমাজ এত বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে পুলিশকে কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিবেন।অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে ও তাদের সরিয়ে দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে স্বগৌরবে ফেরানো হবে। এ ছাড়া মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের উপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, মব সৃষ্টি করে যারা নানা অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। একইসাথে সবগুলো থানাকে একটিভ করতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। বাহারুল আলম বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যারা অপরাধী (পুলিশ) তাদের বিচারের আওতায় এনে ও সরিয়ে দিয়ে পুলিশকে আবার স্বগৌরবে ফিরে আনা, কর্মক্ষম করে তোলা ও পুলিশকে আবার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে আমরা চেষ্টা করছি। দেশে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এটা আবেগের বিষয়। হয়তো তাদের অতীত স্মৃতি মনে করে দেয়, যখন পুলিশ অন্যায়ভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করেছে। অন্যায় আচরণ করেছে এবং গণবিরোধী আচরণ করেছে। নাগরিক সমাজের প্রতি আমার অনুরোধ পুলিশকে আপনারা কাছে টেনে নিন এবং তাদেরকে কাজ করতে সহায়তা করুন।তিনি আরও বলেন,জুলাই আন্দোলনে যে সকল অন্যায় সংগঠিত হয়েছে সেগুলো সঠিক তদন্ত বিচারের মাধ্যমে যদি নিষ্পত্তি না করা হয় এবং মানুষ যদি ন্যায়বিচার না পায় তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। এ প্রয়াস যেন সুসম্পন্ন হয় এজন্য এখানে যারা বিচারক, সরকারি কৌসূলী, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি আছেন, আপনাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসের দরকার।জুলাই আন্দোলনে যেসকল শহীদদের পোস্টমর্টেম করা হয়নি সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, অনেক মামলা হয়েছে যেখানে ৫ আগস্টের অব্যবহিত পরে যথাযথভাবে মামলা রুজু হয়নি। একই ঘটনায় কয়েকটি মামলা হয়েছে, আবার শহীদের ঘটনায় আমরা পোস্টমর্টেম করতে পারিনি। একটি ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছে একজন বলছিল যে, জুলাই বিপ্লবের সময় শহীদদের উন্মুক্তভাবে কবর দেওয়া কঠিন ছিল। অনেক মা তার সন্তানকে ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে কবর দিয়েছেন।তিনি তার ছেলে শহীদ হওয়ার বিষয়টিও বলতে পারেননি। কারণ বলতে গেলে তার ওপর অত্যাচার নেমে আসবে যে কেন তোমার ছেলে আন্দোলনে গিয়েছিল। কাঁদতেও পারেনি, কাঁদার স্বাধীনতাও ছিল না। যেখানে কবর দিতেই পারছে না সেখানে হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা অকল্পনীয়। এখন এসব মৃত্যুর সুবিচার ও ন্যায়বিচার দিতে হলে আমরা যদি আইনের প্রতি অক্ষরের দিকে চিন্তা করি যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেই তাহলে এ জাতির প্রতি, আন্দোলনের প্রতি, শহীদদের প্রতি আমরা হয়তোবা ন্যায়বিচার করতে পারব না। এ বিষয়ে এখানে উপস্থিত অ্যাটর্নি জেনারেল বিস্তারিত বলবেন।তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল সে সরকার তার ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে। তার স্মৃতি আমাদেরকে এখনও বহন করতে হচ্ছে। প্রায় এক হাজার শহীদ এবং কয়েক সহস্র আহত ছাত্র-জনতা আমাদের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়, ৫ আগস্টের আগে ১৫ বছর আমরা কীভাবে অসহনীয় পরিস্থিতিতে কাল কাটিয়েছি।কর্মশালায় অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১৬ বছরে মোমবাতি জ্বালিয়ে নৈরাজ্যবাদী সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে রায় দিয়েছেন বিচারকরা। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার নামে দলীয় এজেন্টে বিচারক নিয়োগ বিহীন ফরমায়েসী রায় দেয়া হয়েছে। এই সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে আর ফিরিয়ে নেয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বললেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, জড়িতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, আয়না ঘরের সংস্কৃতিতে আর বাংলাদেশ যাবে না। কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়া হাসান বলেন, জলবায়ু ও পরিবেশ বাঁচাতে প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা রয়েছে। কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় মিলনায়তনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, আর্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আইজিপি বাহারুল আলম,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটরিয়াল অ্যাডভাইজর এ্যাড. এহসানুল হক সমাজি। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলীসহ রংপুর বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা বৃন্দ।

Don`t copy text!