সিরাজুল ইসলাম কমল নগর প্রতিনিধ।
লক্ষীপুর কমলনগর শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) ভোরে উপজেলার মার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফয়েজ আহমেদ ভূইয়ার বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে রুমির গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। গৃহবধূ রুমি সেই বাড়ির প্রবাসী শাকিলের স্ত্রী ও একই এলাকার মুকবুল আহম্মের ছোট মেয়ে।
মৃতের সাথে থাকা তার ছোট দেবর সাইমুন (১০) ও তার খালাতো দেবর রাফি (১০) তার সাথে রাতে একই খাটে ঘুমিয়েছেন। সকালে মৃতের দাদি শাশুড়ি ঘরের দরজায় ডাকাডাকি করলে দুই দেবরের ঘুম ভেঙে গেলে তারা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে দরজা খোলেন। রাতে কি হয়েছে তা তারা বলতে পারেন না। এবং ঘরে তারা তিন জনে ছিলো। রুমির শাশুড়ি তার ভাইকে দেখতে হাসপাতে গিয়েছেন।
মৃতের ভাই সহিদ বলেন, আজ আমাদের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান রয়েছে। এ বিষয়ে রাতে আমার সাথে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছে। সকালে তার মৃত্যুর কথা শুনে ছুটে আসি। তার লাশ যে অবস্থায় দেখলাম, তাতে খুব সহজে বুঝা যায় তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মৃতের আরেক ভাই রসিদ বলেন, গত কাল রাতেও তার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। সকালে খবর পেলাম সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এখন সে কিভাবে ফাঁস দিলো তা তো আমরা জানি না। সে লম্বায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, পাখার সাথে খাটের দূরত্ব ৫ ফুট ফুটের মতো। এই জায়গার ভিতরে কিভাবে সে ফাঁস দিলো? তার লাশ কিভাবে খাটের উপরে হাঁটু অবস্থায় রয়েছে? এতে যে কেউ বলবে তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মৃতের বড় ভাই কোরবান আলি বলেন, আমি আই যে মিলে দেখছি, এই দেখা বাবদ পুরোপুরি সন্দেহ লাগে, আগলা কোন ছেলে পেলেরে দিয়া খারাপ কিছু করাইছে।আর সেগুলো প্রকাশ করি দিবো বিদায় পরে তারে মারি (মেরে) লটকাই (ঝুলিয়ে) রাখছে।
স্থানীয়রা বলেন, এই অবস্থায় কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না। মারা যাওয়ার সময় রুমি লাফালাফি করলে পাশে থাকা তার দেবরদের ঘুম ভেঙে যেতো। এবং তার পাশে থাকা চেয়ারের উপরে দাঁড়িয়ে ফাঁস দিলে তার পায়ের হাটু কিভাবে খাটের সাথে লাগানো অবস্থায় থাকে। তার গলায় এতো সুন্দর ভাবে ওড়ানা থাকতো না। তাই আমাদের দাবী সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হোক।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।