স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান।
শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার
গুরত্ব অপরিসীম,খেলা ধুলোয় খেলাধুলায় জয়-পরাজয় থাকবে, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণই বড় কথা। ক্রীড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, উদারতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জিত হবে।
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই প্রতিপাদ্যে সামনে রেখে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে আজ (বুধবার) দুপুরে খুলনা ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকার একথা বলেন।তিনি বলেন,স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সুস্থ দেহে সুন্দর মন। রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নাই। শৈশব এবং কৈশোর জীবনে, খেলাধুলার গুরুত্ব অনেক। খেলাধুলা ছাড়া শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে না। খেলাধুলা শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না। এটি ছাত্রছাত্রী তথা মানুষকে শারীরিক মানসিকভাবে বিকাশ লাভ করে সুনাগরিক করে তোলে। আলোচ্য প্রবন্ধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা এবং স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে লেখাপড়া করে কিভাবে উন্নতি লাভ করতে পারে তাই আলোচনার মুখ্য বিষয়। শিশু মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, শিশুদের শৈশবকাল শৈশবকালে তাদের হেসেখেলে শিক্ষাদান করে পারদর্শী করে তুলতে হবে। উন্নত দেশে বিদ্যালয়ে শিশুদের সব কিছু শিক্ষা দেয়া হয়।
তাদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে খেলাধুলা চিত্ত বিনোদন ইত্যাদি বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করে থাকে। বই, পুস্তক, খাতা কলম ইত্যাদি বিদ্যালয়ে থাকে। বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, অভিভাবকদের সন্তানদের দিকে খেয়াল করতে হবে। তারা পড়াশুনা করে, না দরজাবন্ধ করে মোবাইল ব্যবহার করে সেটাজানতে হবে। ভালো মানুষের মতো গড়ে তুলতে হবে সন্তানদের। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীরা বড় ভূমিকা পালন করেছে, তাদের মাথায় ভালো কিছু করার চিন্তা ছিলো। শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে হবে এবং মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, সচিব শরীফ আসিফ রহমান ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মমিন। ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইমরুল কায়েস এতে সভাপতিত্ব করেন। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।সকালে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আনিস-আর-রেজা।