লাখাই প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১ নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের এক পরিবারকে সমাজচ্যুত করে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
২৬ শে জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭ টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১০/১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বজনগ্রামের পুরকায়স্থহাটির বাসিন্দা সাংবাদিক সানি চন্দ্র বিশ্বাস ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং এসময় শাবল কোদাল ব্যবহার করে তার ল্যাট্রিনের পাইপ কেটে ফেলে পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সানি চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি কুচক্রীমহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবেশি অগ্নি কুমার দাসের সাথে বসতভিটা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে সমাজচ্যূত করে লাঠিয়াল ওয়াহাব মিয়ার নেতৃত্বে ফিরোজ মিয়া, নিহার দেব, গৌতম কর্মকার, দিলীপ দাস, সুখন সূত্রধরসহ একটি কুচক্রীমহল ।
তাদের প্ররোচনায় বিভিন্ন সময়ে অগ্নি কুমার দাস সানি চন্দ্র বিশ্বাসের পৈতৃক ভিটা জোরপূর্বক দখল ও হুমকি ধামকি প্রদান করে। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয়ভাবে জায়গা মাপজোক হলে সানি চন্দ্র বিশ্বাস তার হারানো জায়গা ফেরত পায়।
কিন্তু নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ না হওয়ায় কুচক্রীমহলের প্ররোচনায় ও ইন্ধনে তাকে সমাজচ্যুত করে সকলকে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
সানি চন্দ্র বিশ্বাসের মা ভজনা রাণী বিশ্বাস জানান, আমাদের বলে মালাউনের বাচ্চা তোদের দেশছাড়া করবো এবং অগ্নি দাস ও মহুরী সুখন কে দিয়ে ৫/ ৬ টি মামলা করে নিঃস্ব বানাবো।
খবর পেয়ে স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তার পরিবারকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে।
সানি চন্দ্র বিশ্বাসের বাবা রাখেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আমরা সংখ্যালঘু মানুষ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি যেকোনো সময় আমাদের উপর হামলা হতে পারে।
নিরাপত্তার জন্য মামলা করতে ও ভয় পাচ্ছি ওরা হুমকি দিচ্ছে আমার ও ছেলেদের পা কেটে ফেলবে। তাছাড়া বাথরুমের পায়খানা আমাদের খাওয়াবে৷
সানি চন্দ্র বিশ্বাস আরো জানান, কোর্টে ১০৭ ধারায় মামলা চলমান থাকা সত্বেও অগ্নি কুমার দাস ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় এর চেয়ে বর্বরতা আর কী হতে পারে। প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন জানাচ্ছে সংখ্যালঘু এই পরিবারটি।