ঢাকাশনিবার , ১১ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টারের বর্ষপূর্তিতে বক্তারা

প্রতিবেদক
admin
জানুয়ারি ১১, ২০২৫ ৬:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নৃত্য মানুষের হৃদয়ে শিল্পের ছোঁয়া পৌঁছে দেয়

যীশু সেন, বিশেষ প্রতিনিধি :

ওটিডিএমসি এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- নৃত্য শিল্পী সমাজের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে, মানুষের মধ্যে সৌন্দর্য, শৃঙ্খলা এবং আত্মপ্রকাশের অনুভূতি সৃষ্টি করে। নৃত্য মানুষের হৃদয়ে শিল্পের ছোঁয়া পৌঁছে দেয়। আর নৃত্যগুরু একটি মহান শিল্পী, যিনি তাঁর নৃত্যশিল্পের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি করেন। তাঁর শৈল্পিক কৌশল, সৃষ্টিশীলতা ও কঠোর অনুশীলন প্রতিটি পদক্ষেপে উজ্জ্বল। নৃত্যগুরুদের স্মরণ অনুষ্ঠান কেবল তাঁদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো নয়, বরং নৃত্যশিল্পের প্রতি সমাজের সম্মানও বৃদ্ধি করে। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে, যাতে তারা সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্বশীল থাকে এবং শিল্পী সম্প্রদায়ের অবদানকে মূল্যায়ণ করতে শেখে। নৃত্যগুরুর স্মৃতিতে আমরা তাঁদের অসীম প্রতিভা ও শিল্পীসত্তার প্রতি কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি।
ওড়িশী অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এর আয়োজনে ২৫ বছর পূর্তি ও সদ্য প্রয়াত নৃত্যগুরু পৌষালী মুখার্জির স্মৃতির উৎসর্গে গত ১০ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫:৩০ মিনিটে নগরীর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে “নব নব রূপে এসো প্রাণে” শিরোনামে নৃত্যানুষ্ঠান পরিকল্পনা ও নৃত্য নির্মিতিতে ছিলেন প্রমা অবন্তী। প্রায় ৩০০ শতাধিক শিক্ষার্থীদের
অংশগ্রহণে বিভিন্ন গ্রুপে সুন্দর নৃত্য শৈলী পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন অনুবাদক ও সাহিত্যিক আলম খোরশেদ, শিক্ষাবিদ রীতা দস্তিদার, নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু মানসী দাশ তালুকদার, নাট্যকার ও নির্দেশক অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া। বক্তারা আরও বলেন- বাংলাদেশে ওড়িশী নৃত্যের প্রচার ও প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানটি যেভাবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার শুধু তাই নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বাক্ষর রেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটির সকল প্রযোজনা।
অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয় প্রমা অবন্তী’র প্রথম নৃত্যশিক্ষা গুরু সীমা মুৎসুদ্দি।
অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু। তিনি বলেন – বর্তমানে বিশ্বে আধুনিকতার প্রভাবে অনেক ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও চর্চা হারিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন, এবং বৈশ্বিকীকরণের কারণে অনেক প্রাচীন রীতি ও ঐতিহ্য আজ আর আগের মতো গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিশেষত, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাচ্ছে, যার ফলে অনেক পুরনো কৃষ্টি ও চর্চা মুছে যেতে বসেছে। তবে নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তির প্রতিষ্ঠানের মত, অনেক প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন এসব ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং চর্চা করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানের গ্রন্থনায় ছিলেন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া ও সঞ্চালনায় ছিলেন কঙ্কন দাশ। অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও পরিচালনায় ছিলেন নিবিড় দাশ গুপ্তা, তূষি শর্মা, রিয়া বড়ুয়া, আফসানা ইকবাল হিয়া, ময়ূখ সরকার, দিয়া দাশ গুপ্তা ও অর্জিতা সেন চৌধুরী। প্রযোজনা অধিকর্তা ছিলেন অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন আসিফ ইবনে ইউসুফ। আবহ প্রক্ষেপণে ছিলেন সাথী চক্রবর্তী ও সুমেধ বড়ুয়া। ভিডিও সম্পাদনায় ছিলেন অভ্র বড়ুয়া, ময়ূখ সরকার, সুমেধ বড়ুয়া ও আদিত্য বর্ধন মুগ্ধ। সার্বিক সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি,চট্টগ্রাম।মিলনায়তন ভর্তি দর্শক শিল্পীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

Don`t copy text!