সিরাজুলইসলাম ল প্রতিনিধি-
কমলনগরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মাজহারুল ইসলাম মাসুদের মাদ্রাসার পরিচালক তার ভাই মাও হুমায়ুন কবির ও শিক্ষক নুরনবীর উপর হামলার অভিযোগ উঠে।
বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারী) রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে চৌরাস্তা মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আবু তাহেরসহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মালেক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার ১ম জামাতের দোকানে গেলে দোকানদার চুরির অভিযোগে মারধর করলে মাদ্রাসার প্রদান হুমায়ুন কবির বিষয়টি জানতে যাওয়ায় সেখানে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে বিএনপির নেতা আবুল কালাম ও তার ভাই জামাল উদ্দিন মাদ্রাসার প্রধানকে মাদ্রাসা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে টেনে হিছড়ে দোকানের মধ্যে মারধর করে আটকিয়ে রাখে।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেন, তার মাদ্রাসার এক ছাত্র বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার সামনে রাসেলের দোকানে পুরি কিনতে যায়। ওই সময় রাসেল তার দোকানের পুরি চুরি করে খেয়েছে মর্মে ওই ছাত্রকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় দোকানদার রাসেলকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে বিএনপির নেতা আবুল কালাম নেতৃত্বে জামালসহ আমাকে মাদ্রাসা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে টেনে হিছড়ে দোকানের মধ্যে মারধর করে আটকিয়ে রাখে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল করলে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আরো জানান।
এ দিকে বিএনপি নেতা আবুল কালাম মাওলানা হুমায়ুন কবিরকে মাদ্রাসা থেকে টেনে হিছড়ে বের করে দোকানে আনার কথা স্বীকার করলেও মারধর ও আটকিয়ে রাখার বিষয় অস্বীকার করে বলে এর বেশি কিছুই তিনি জানেন না।
কমলনগর থানার (তদন্ত) কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।