দুবাইয়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রবাসীদের হয়রানি করার অভিযোগ এনে মোদাচ্ছের শাহ নামে আমিরাত প্রবাসী এক ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আরব আমিরাতে বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাত হোসেন।
গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) শারজাহ বাংলাদেশ সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলেন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শাহাদাত হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা, লাঞ্ছনা, হয়রানি, হুমকি ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিকার চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে। তিনি এই বিষয়ে বর্তমান সরকারের পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও প্রতিকার চেয়েছেন। তিনি বলেন, গত আগষ্ট বিপ্লবের একটি মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। ওই মামলায় আমি ৩০ নম্বর আসামি। অথচ আমি বাদিকেও চিনিনা। বাদিও আমাকে চিনেনা। আর ঘটনার সময় আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছিলাম।
তিনি বলেন, আমি কখনো রাজনীতি করিনি, তাই আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মামলা হওয়ার কোনো কারণ দেখছিনা।
তবে তিনি তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন মোদাচ্ছের শাহ নামে বিএনপির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। কেননা এই মোদাচ্ছের শাহ গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কনস্যুলেটে শাহাদাতের উপর চড়াও হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
মামলা হওয়ার পর সাইফুল আলম শাহাদাতের এক পরিচিতজনকে একটি নয় আরো ৩০০ মামলা দেয়ার হুমকি দেন। শাহাদাত বলেন, এতে প্রমাণিত হয় মোদাচ্ছের শাহ আমাকে মামলায় ফাঁসিয়েছেন।
রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাহাদাত হোসেন জানান , আমি মানবিক কাজে জড়িত। দীর্ঘ ৩২ বছর মানুষের সেবায় কাজ করে গিয়েছি, জুলাই বিপ্লবে আমার এলাকা হাটহাজারিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছি।
আমিরাত ও জাপানে ব্যবসা বিস্তৃত করেছি। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থ সংকট মোচনের চেষ্টা করেছি। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, আপনাকে মানুষ আগামীর রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে ভাবছেন, আপনার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যে মোদাচ্ছের শাহ প্রবাসীদের হয়রানি করছেন তার বিরুদ্ধে আপনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এটাই প্রত্যাশা করি।