অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. আবেদ চৌধুরী।
পরিবারের একটি সূত্র জানায়, মরহুম হাসান আরিফের মেয়ে কানাডা থাকে। তিনি ২২ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। এরপর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগ পর্যন্ত মরদেহ রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
এই মুহূর্তে ল্যাব এইড হাসপাতালে উপস্থিত আছেন- জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জ্বালানি উপদেষ্টা, ফাওজুল কবীর, যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস কিছুক্ষণের মধ্যে আসবেন বলে জানা গেছে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন।
এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
হাসান আরিফ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন