কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলাধীন ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে,
৩টিতে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ১টিতে প্রশাসকের দায়িত্ব অর্পণ করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (স্থানীয় সরকার শাখা) থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। যার স্মারক নং – ৪৬.৪১.৪৮০০.০১০.০৩.০৯৩.২৪-৫৩৪।
গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান স্বাক্ষরিত (স্থানীয় সরকার শাখা) এই অফিস আদেশ জারি করা হয়।
জানা যায়, ৫ই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর, উছমানপুর, ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যানগণ এবং রামদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানগণ তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার কারণে জনসেবার দারুণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনগণকে সেবা পেতে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ-জহুরা এর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে, জনসেভা অব্যাহত রাখতে এই আদেশ জারি করা হয়।
অফিস আদেশ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানগণ অননুমোদিত ভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবহিত করেন। তৎপ্রক্ষিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৩.১০১.ও ১০২ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার ১৯ আগষ্ট ২০২৪ তারিখের ৪৬.০০.০০০০.০০০.০১৭.৯৯.০০৪৪.২২-৬৮৪ নম্বর স্মারকে জারিকৃত পরিপত্রের আলোকে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ-জহুরা, কুলিয়ারচর এর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ পরিচালনা ও জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য, উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে মোঃ মস্তুোফা কামালকে (৫ নং ওয়ার্ড সদস্য) প্যানেল চেয়ারম্যান-১, ফরিদপুর ইউনিয়নে মোঃ মোবারক হোসেনকে (৭ নং ওয়ার্ড সদস্য) প্যানেল চেয়ারম্যান-২, উছমানপুর ইউনিয়নে মোঃ লিটন মিয়াকে প্যানেল চেয়ারম্যান-২, এবং রামদী ইউনিয়নে কুলিয়ারচর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামকে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে এই অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।